বিজ্ঞাপন

‘ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশে উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’

December 19, 2019 | 1:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভারতে নাগরিত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাশ হওয়াতে বাংলাদেশে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত ‘ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল-২০১৯: বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উদ্বিগ্নতা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই শঙ্কা প্রকাশ করেন।

অ্যাডভোকেট নিতাই রায় বলেন, ‘ভারতে নাগরিত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়াতে আমরা বাংলাদেশে বসবাসরত ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার ফলে বাংলাদেশে সামান্য কোনো ঘটনা ঘটলেই দেশ ত্যাগের প্রবণতা বাড়বে।’

এই আইনের ফলে সহজে ভারতের নাগরিক হওয়া যাবে এই ধারণায় অধিকতর নিরাপত্তার আশায় অনেকের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলে জানান নিতাই রায়। তিনি বলেন, ‘এর ফলে এক সময় বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমে যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনটি ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে করার ফলে উভয় দেশের সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত হবে। একইসঙ্গে ভারতে বসবাসরত নাগরিকত্বহীন মুসলীমদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। স্বাভাবিকভাবে তখন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রবণতা দেখা দেবে, ইতোমধ্যে কমবেশি যা শুরু হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ত্যাগী ভারতে অবস্থানকারী হিন্দুদের লাভ হলেও বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের লাভের সম্ভাবনা কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতে ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ায় উভয় দেশের সংখ্যালঘুরা ক্ষতির সম্মুখিন হবে। ভারত এবং বাংলাদেশের সরকারের উচিত এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাতে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। এছাড়া ৪৭ সালের পর থেকে দুই দেশেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নিপিড়ন হয়েছে। অন্যদিকে ভারতে এই নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়াতে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আমরা নাগরিকদের মধ্যে যে বিভক্তি সেটা চায় না। ফলে ভারতজুড়ে এই আইনটি বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে। আমাদের উদ্বিগ্ন হচ্ছে, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে সমস্ত নাগরিকই সমান। ফলে ভারতের নাগরিকত্ব বিল পাশের ফলে বাংলাদেশেও বিরূপ প্রভাব পড়বে। যার ফলে দুই দেশে ভারসাম্যহীন অবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হবে। যা আমরা চায় না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ‘বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, ড. সুকমল বড়ুয়া, তপন মজুমদার ও সদস্য জয়ন্ত কুমার কুণ্ডুসহ অনেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন