বিজ্ঞাপন

ক্যাসিনোকাণ্ড: ৪ দিনের রিমান্ডে এনামুল হক এনু

January 23, 2020 | 8:01 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক এনুকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী আসামি এনুর সাতদিন রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আবেদনের শুনানির জন্য ২৩ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছিলেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন এনামুল হক এনু। এ ছাড়া আসামি রাজধানীর গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা হারুনুর রশীদ ও ওয়ারীর বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ পরস্পর যোগসাজসে যথাক্রমে এক কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনুকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। আসামি এনুর অবৈধ সম্পদের বর্তমান অবস্থা, তার সঙ্গে অন্য কারও সম্পৃক্ততা আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকায় এনু-রুপনকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২২টি জমির দলিল, পাঁচটি গাড়ির কাগজপত্র ও ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ লাখ টাকা ও ১২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।

১৫ জানুয়ারি মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক দুই মামলায় দুই ভাইয়ের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, এনামুলের আয়কর নথি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তার বৈধ আয়ের কোনো উৎস নেই। ক্যাসিনো ব্যবসাসহ অবৈধ উপায়ে তিনি প্রচুর ধনসম্পদ অর্জন করেন। যা তার ‍আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অবৈধ আয়ের মাধ্যমে সে দেশে–বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া এনামুলের ভাই রুপন ভূঁইয়ার মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এদিকে এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা করেছে। ২৩ অক্টোবর সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। এ দুই ভাইয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করার এক মাস পর ওই মামলা করে দুদক।

এর আগে র‌্যাব তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে তিন থানায় সাতটি মামলা করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/একে

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন