বিজ্ঞাপন

মেয়র নাছিরের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যাওয়ার পথে সংঘাতে অনুসারীরা

February 6, 2020 | 10:28 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মাদক-সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে যাবার পথে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু এবং একই ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু মো. মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে এদিন বিকেলে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ‘মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ’ হয়, যাতে শপথবাক্য পাঠ করান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেয়রের অনুসারীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে যান।

আর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু মো. মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ আছে মহিউদ্দিনের হাতে।

বিজ্ঞাপন

মহিউদ্দিনের অনুসারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি কাম্বার হোসেন রকি সারাবাংলাকে জানান, পলিকেটনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তারা মিছিল নিয়ে নন্দনকানন দিয়ে লালদিঘীর মাঠে যাচ্ছিলেন। নন্দনকানন দুই নম্বর গলির কাছে সাহেদ ইকবাল বাবুর ব্যানার লাগানো একটি বাস থেকে তাদের ওপর হামলা করা হয়। ইনস্টিটিউটের জিএস শাহাদাত হোসেন ওমরের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে সমাবেশে না যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ইটের টুকরো-পাথর ছুঁড়ে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় তাদের।

মাদক-সন্ত্রাসমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী গড়ার শপথ নিলেন হাজারো জনতা

ভিপি কাম্বার জানান, হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইয়াছিন আরাফাত বাপ্পী, নুরুল হক মনির, হেলাল উদ্দিন রাকেশ, মাহমুদ হোসেন, মো. আরাফাত ও শাহাদাত হোসেন ওমরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটিতে ভর্তি করা হয়েছে।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘মারামারিতে আহত অবস্থায় ৮-১০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কারও মাথায়, কারও হাতে-পায়ে জখম আছে।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। পেছনে ছিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের মিছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর রিপন নামে আমার এক যুবলীগ কর্মীকে খুন করা হয়। সেই মামলার বাদি রিপনের ভাইও আমার সঙ্গে মিছিলে ছিল। পেছনের মিছিল থেকে কালা মনির নামে একজন রিপনের ভাইকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল। তখন আমার লোকজন তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করে। পলিটেকনিকের ছেলেরা বরং আমার লোকজনের ওপর হামলা করে ৫-৬ জনকে আহত করেছে। আমি বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি।’

উল্লেখ্য, রিপন খুনের মামলায় আসামি করা হয় আবু মো. মহিউদ্দিনকেও। এরপর থেকে সাহেদ ইকবাল বাবু ও মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। তবে বাবু ও মহিউদ্দিন একই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় মূলত বিরোধের সূত্রপাত হয়।

জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুনেছি নন্দনকানন এলাকায় দু’পক্ষে মারামারি হয়েছে। কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন