বিজ্ঞাপন

বিএনপি ঘুরে ‘আ.লীগে ফেরা’ মনজুরের সহযোগিতা চান রেজাউল

February 29, 2020 | 4:43 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দশ বছর আগে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে যিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই এম মনজুর আলমের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনে সহযোগিতা চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। শুধু নির্বাচন নয়, বিজয়ী হয়ে মেয়র হতে পারলে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও মনজুরের সহযোগিতার আশ্বাস নিয়ে ফিরেছেন রেজাউল।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলীতে মনজুরের বাড়িতে যান রেজাউল করিম। এসময় মনজুরের ভাতিজা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ছিলেন। রেজাউল সঙ্গে নিয়ে যান নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, স্থানীয় কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ কয়েকজন নেতাকে।

জানা গেছে, মনজুরের বৈঠকখানায় তাদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট কথা হয়। রেজাউল মনজুরের হাত ধরে সহযোগিতা চান। জবাবে মনজুর রেজাউলের জন্য প্রচারণায় নামার আশ্বাস দেন। মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সংকট নিরসনে অতীতে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে মনজুরের পরামর্শ পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন রেজাউল।

জানতে চাইলে এম মনজুর আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘রেজাউল করিম সাহেব আমার কাছে এসেছিলেন। যেহেতু আমি দুই টার্ম মেয়র ইলেকশন করেছি, আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন, সহযোগিতা চেয়েছেন। আমি বলেছি, সব ধরনের সহযোগিতা করব। রেজাউল করিম সাহেব একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। উনি যাতে নির্বাচনে জিতে আসেন এবং জেতার পরে সুন্দরভাবে করপোরেশন পরিচালনা করতে পারেন, এজন্য আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব।’

বিজ্ঞাপন

খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী রেজাউল করিম সাহেব উত্তর কাট্টলী এলাকায় এসেছিলেন। আমরা প্রথমে কয়েকজন প্রবীণ নেতার বাড়িতে গিয়েছিলাম। এরপর মাজার জেয়ারত করেছি। একটি মন্দিরে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেছি। এরপর এম মনজুর আলম সাহেবের বাড়িতে গিয়েছিলাম। উনি যেহেতু মেয়র ছিলেন, উনার সহযোগিতাও আমাদের লাগবে। সেজন্যই যাওয়া।’

আওয়ামী লীগের সমর্থনে কয়েকবার উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১০ সালে বিএনপিতে যোগ দেন এম মনজুর আলম। প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক শিষ্য হিসেবে পরিচিত মনজুর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহিউদ্দিনকেই হারিয়ে দেন। ২০১৫ সালে বিএনপি থেকে আবারও প্রার্থী হয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে পরাজিত হন। গোলযোগপূর্ণ সেই নির্বাচনের মাঝপথে মনজুর ভোট বর্জনের পাশাপাশি রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দেন।

মাঝে কিছুদিন নীরব থাকলেও পরে আবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে বিফল হন। এবারও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন। তবে গণভবনে সাক্ষাতকারে যাননি মনজুর।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মনজুরের বাড়ি থেকে ফিরে রেজাউল নগরীর কে সি দে রোড এলাকায় প্রস্তাবিত নির্বাচনি কার্যালয়ের স্থান পরিদর্শনে যান। এসময় তার সঙ্গে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক ও উপদফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারী ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন