বিজ্ঞাপন

চবিতে হলের সিট দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২, আটক ৪

March 4, 2020 | 9:40 pm

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দু’জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও এক বহিরাগতসহ অন্তত চার জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ছাত্রলীগ বলছে, যারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তারা ছাত্রলীগের নামধারী অছাত্র।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ মার্চ) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন— হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আবির হাসান ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আবদুল হামিদ ফুয়াদ।

আটক চার জন হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সীমান্ত দাস, একই শিক্ষাবর্ষের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বেলায়েত আকতার ও দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ বিভাগের মেহেদী হাসান এবং বহিরাগত আরিফ। আরিফের বাবা নুরুল ইসলাম। তার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া।

প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলে ও বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সোমবার (২ মার্চ) রাতে আলাওল হলের ২৩৪ নম্বর রুমে হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন ‘বিজয়’ ও ‘কনকর্ড’ গ্রুপের নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাতে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজয় গ্রুপের কর্মী বোরহান আবির হাসান নামের এক কর্মীকে মারধর করে কনকর্ড গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ছাত্রলীগ নামধারীরা কিছু অছাত্র কোনো কারণ ছাড়াই ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে। বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কারণ ছাড়াই শাহজালাল হলে ঢুকে ছাত্রলীগ কর্মীদের আহত করে। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই।

বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, মঙ্গলবার বিনা উসকানিতে ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারীরা আমাদের এক নেতাকর্মীকে মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের কমিটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করত, তাহলে আজ এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।

বিজ্ঞাপন

চবি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বেলাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আটকদের যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। যদি তারা সংঘর্ষে জড়িত না থাকে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/সিসি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন