বিজ্ঞাপন

‘মুজিববর্ষের মধ্যেই সব গৃহহীন ঘর পাবে’

March 7, 2020 | 8:13 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান রেখে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি চাই এই মুজিববর্ষের ভেতরেই বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতার আদর্শের সৈনিক হিসাবে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর একটা দায়িত্ব দেশ ও জাতির জন্য আছে। তাই আপনারা সারাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের খোঁজ নিয়ে আমাদের জানান।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মুজিববর্ষ উদযাপন করতে যাচ্ছে এজন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম ১৯৯৭ সালে আমরা আমাদের রজতজয়ন্তী উদযাপন করতে পেরেছিলাম। তখন আমি বিশ্ব নেতাদের দাওয়াত দিয়েছিলাম। এটা আওয়ামী লীগের একটা সৌভাগ্য। ক্ষমতায় থেকে আমরা স্বাধীন বাংলার রজতজয়ন্তী উদযাপন করেছি। আজ আমরা জনগণের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি।’

মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রসঙ্গ তুলে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা আমাদের অন্যান্য সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর কাছে আমার একটা আবেদন থাকবে। আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনে অনেক কর্মসূচি, অনেক কিছু চিন্তা করি, আমরা করতে চাই, করে যাচ্ছি। অনেক অর্থ অনেকে ব্যয় করেন। একটা কাজ যদি আপনারা করতে পারেন, এর থেকে বড় সার্থকতা আর কিছু হতে পারে না। আমি সেই কাজটিই আপনাদের দিতে চাই। এখনও আমাদের দেশে নদী ভাঙনে মানুষ গৃহহারা হয়ে যায়, এখনও আমাদের দেশে কিছু মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় যারা ভূমিহীন, গৃহহীন। আমি চাই, মুজিববর্ষ আমরা উদযাপন করছি, এই মুজিববর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশের সব গৃহহীন মানুষ ঘর পাবে।’

বিজ্ঞাপন

‘আমার অনুরোধ থাকবে, আওয়ামী লীগের এতো নেতাকর্মী, এতো আদর্শের সৈনিক, আপনারা যার যার নিজের গ্রামে নিজের এলাকায় নিজেরা একটু খোঁজ নেন। আপনারা এলাকায় কয়টা মানুষ গৃহহীন আছে? কয়টা মানুষ গৃহহারা বা ভূমিহীন আছে? আপনারা একটু খুঁজে বের করেন। তাদের আমরা ঘর করে দেব। আপনি পয়সা খরচ করতে না পারলে আমি দেবো। কিন্তু তাদের আমরা ঘর করে দিয়ে যেতে চাই।এটাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আজ শুধু এই হলে যারা বসে আছেন, তারা না। আমি সারা বাংলাদেশের মুজিব আদর্শের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীও কাছে এই আহ্বানটাই রাখবো’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত, শিক্ষার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে এই দেশের মানুষকে তিনি উদ্বুর্ধ্ব করেছিলেন। এ ভাষণ যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ শুধু না সারাবিশ্বের মানুষকেই উজ্জীবিত করবে। আর আমি যে কথাটি বললাম। আশা করি কথাটি সবাই মেনে নিয়ে অবশ্যই উদ্যোগ নেবেন।’

বিজ্ঞাপন

‘৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইনই একেকটি কোটেশন’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন- দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন- উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, লে. কর্ণেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, , ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, কবিতা আবৃত্তি করেন শিমুল মোস্তফা।

সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন