বিজ্ঞাপন

‘কথা বলার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখতে হয়’

March 1, 2018 | 3:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এভাবে কথা বলার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখতে হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক অধিকার মঞ্চ’ এ সভার আয়োজন করে।

এর আগে বুধবার জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে নিয়েছে বিএনপি।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে আপত্তিকর কিছু কথা বলেছেন। একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল যারা প্রতিষ্ঠার পর থেকে জনগণের ভোটে ৫ বার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে। যারা সবসময় জনগণের সঙ্গে থেকেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে। সেই দলটিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন দুর্নীতিপরায়ণ দল।’

‘বলার আগে আয়নায় তো নিজের মুখ দেখতে হয়। বলার আগে মানুষ কী বলে আপনাদের উদ্দেশে সেটা জানতে হবে তো’—  এই যে মেগা প্রজেক্ট। এই সমস্ত মেগা প্রজেক্ট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ খুব ভালো করে জানে কারা দুর্নীতি করছে, কারা দুর্নীতি করছে না’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছিল ১৫টা। ওই ৪টা মামলা রেখে দিয়েছেন, ১৫টা মামলা তুলে নিয়েছেন। সাড়ে ৭ হাজার মামলা আপনাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছিল, তা তুলে নিয়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজারে। আসামি ১৮ লাখ।’

বিজ্ঞাপন

‘গোটা কারাগার ভরে গেছে বিএনপির নেতা-কর্মী দিয়ে। কেন করছেন এগুলো। কারণ, আপনারা জানেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা যদি বাইরে থাকে, মাঠে থাকে, জনগণের সঙ্গে আগামী নির্বাচনে আপনাদের জয়লাভ করার কোনো সম্ভাবনা নেই। সে কারণে, যেনতেনভাবে একটা নির্বাচন করার জন্য বিরোধী দলের সব নেতা-কর্মীকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছেন’— বলেন বিএনপির মহাসচিব।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার মনে হয় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে একটা মাত্র কারণে— সেটি হলো দেশকে পরাধীন করা। আমরা মনে হচ্ছে, এ দেশের স্বাধীনতা স্বেচ্ছায় অন্য কোনো দেশের কাছে বিকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

গত দশ বছরে খুব ধীরে ধীরে মানুষের কথা বলার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘পল্টন ময়দান বন্ধ করে দেওয়া হলো। বলা হলো মুক্তাঙ্গনে যান। মুক্তাঙ্গন আস্তে আস্তে বন্ধ করে দেওয়া হলো। তারপর আর কোনো জায়গা নাই। আমরা এলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে কর্মসূচি পালন করতে চাইলে অনুমতি দেয় না। কয়দিন পর হয়ত আওয়ামী লীগের কার্ড সঙ্গে না থাকলে আমরা কেউ বাজার করে খেতে পারব না।’

‘বিএনপির রাজপথে নামার ক্ষমতা নাই’— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এটা উসকানিমূলক কথাবার্তা। আমার মহিলারা মাঠে নামলে তোমরা ভয় পাও। আমরা নামব কখন?’

বিজ্ঞাপন

‘জাতীয় গণতান্ত্রিক অধিকার মঞ্চ’-এর সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, স্বনির্ভর বিষয় সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মোহম্মদ রহমত উল্লাহসহ অন্য নেতারা।

সারাবাংলা/এজেড/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন