বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বিধান থাকছে না!

June 2, 2020 | 4:50 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোতে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নেতৃত্ব রাখার বিধান তুলে দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে আইন করে ২০২০ সালের মধ্যে এই শর্ত পালন করার কথা বললেও সেই ধারাটিই আর থাকছে না। সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের ভিত্তিতে এই ধারাটি যোগ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত আইন পরিবর্তন করতে হলে এর আগে দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে। তবে নারী নেতৃত্ব সম্পর্কিত ধারাটি তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে কিছুই জানানো হয়নি। যদিও নির্বাচন কমিশন সচিবের দাবি, আইন চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে ইসি’র কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২-এর এ সংক্রান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়। এছাড়াও আরপিও বাংলায় অনুবাদ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, সিইসি কে এম নূরুল হুদা নিজেই নতুন আইনের খসড়া তৈরি করে কমিশনারদের মাঝে দিয়েছেন। খসড়া প্রস্তাবটি এখন পর্যন্ত ইসির কোনো আইন কর্মকর্তাও হাতে পাননি।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ শতাংশ। ওই সময় আইন করা হয়, ২০২০ সালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের হার ৩৩ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। কিন্তু গত ১২ বছরেরও অবস্থার উন্নতি হয়নি। এখনো বেশিরভাগ দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীদের উপস্থিতি ১০ শতাংশের নিচে। এ অবস্থায় এ বছরের মধ্যে ৩৩ শতাংশে নারী নেতৃত্ব উন্নীত করার আইনটি প্রতিপালন করা একরকম অসম্ভব।

এদিকে, আইনটি প্রতিপালন না হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলের নিবন্ধনিই বাতিল করতে হবে। এ পরিস্থিতিতেই রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘বাঁচাতে’ ইসি আইনটি পরিবর্তন করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ তাদের সর্বশেষ সম্মেলনে ২০২০ সালের মধ্যে কমিটির সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার শর্ত শিথিল করেছে। আইনটি পরিবর্তনে এ সিদ্ধান্তও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনা করার মাধ্যমে নতুন আইনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তাবলী সংযোজন বা বিয়োজন করা হবে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরাসরি বা চিঠি দিয়ে কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে। কিভাবে সংলাপ হবে, তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন