বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে যাওয়ার অনুরোধ মেয়র আতিকের

July 28, 2020 | 6:25 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশুর হাটে যেতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বেঁচে থাকলে আরও অনেক কোরবানি দিতে পারবেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে হাটে আসার আরও অনেক সুযোগ পাবেন। কিন্তু এবার দয়া করে একটু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাটে আসুন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ভাটারা-সাইদ নগরের কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাট পরিদর্শনকালে তিনি এ অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি পশুর হাট ঘুরে দেখেন এবং গবাদি পশু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ডিএনসিসি মেয়র আতিকু্ল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা জানেন ডিএনসিসিতে প্রতি বছর দশ-এগারোটা হাট বসে। এবার করোনা নিয়ন্ত্রণে জন্য আমরা চেষ্টা করেছি ঢাকা শহরের বাইরে কিছু জায়গায় হাট বসানোর জন্য। বর্তমানে একটি স্থায়ী হাট গাবতলীতে এবং পাঁচটি অস্থায়ী হাট শহরের বাইরের দিকে খোলামেলা জায়গায় বসানো হয়েছে। এছাড়া হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে কোরবানি পশু কেনা, কোরবানি দেওয়া, মাংস প্রস্তুত করা এমনকি বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল হাটও বসানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর মহামারির মধ্যে কোরবানি। প্রতি বছর কোরবানি পশু কিনতে আমরা হাটে আসি। হাটে আসাটাই উৎসবের একটা অংশ। কিন্তু এবার বিশ্বব্যাপী মহামারি এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি মোকাবিলা করার।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, হাট ইজারা দিয়ে ডিএনসিসি গতবার ২১ কোটি টাকা পেয়েছিল। হাট কমানোর কারণে এবার অনেক কম টাকা পেয়েছি। তবুও জনস্বার্থের গুরুত্ব আমাদের কাছে বেশি।’

মেয়র আতিক বলেন, ‘হাট পরিদর্শনের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। তারা মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেকটা হাটে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করছেন। ইজারাদাররাও মাস্ক নিয়ে এসেছে, যাতে কেউ মাস্ক নিয়ে না আসলে তাদেরকে দিতে পারে। এটি মেনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার, তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। বারবার মাইকে স্বাস্থ্যবিধি বলা হচ্ছে, সচেতন করা হচ্ছে। বয়স্ক, শিশু, অসুস্থরা যাতে হাটে না আসেন।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি হাটে একটি করে মোবাইল কোর্ট দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবাই যেন মেনে চলে।’

বিজ্ঞাপন

আতিক বলেন, ‘মহামারির মধ্যেই এবার ঈদ হচ্ছে। বেঁচে থাকলে আরও অনেক কোরবানির ঈদ করতে পারব। কিন্তু এবারে যারা আসবেন মেহেরবানি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। আমরা কেবল সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।’

কোরবানির স্থান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘বছিলায় ২ হাজার পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএনসিসি থেকে ২৫৬টি স্থানে কোরবানি দেওয়ার জন্য স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ওইসব স্থানে কোরবানি দিন। মহামারি ও কোরবানি মাথায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্বে শহর পরিষ্কার রাখুন।’

পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানসহ কোরবানি পশুর হাট মনিটরিং কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন