বিজ্ঞাপন

‘স্বাধীন দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু’

August 18, 2020 | 5:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী  মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।  ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের শুভ সূচনা করেছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ( ১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি  ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস  যা আজকের বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান  আজ সুদৃঢ় হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তাক্ত যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হলেও তার জন্য বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হয়েছে। বলতে গেলে শূন্যহাতে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। সেই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নজর দেওয়ার সুযোগ ছিল খুবই কঠিন।  কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু।  খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালেই যাত্রা শুরু করে ‘ জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ‘।  দুই ধাপে গড়ে তোলা হয় ৩৪ টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থা।  অনুমোদন দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে। ফেডারেশনগুলোর সক্রিয়তায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় ক্রীড়াঙ্গন। বিদেশি ক্রীড়া দল খেলতে আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ দলও বিদেশে খেলতে যায় । কয়েকটি দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ক্রীড়াবিদদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়। ক্রীড়াবিদদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৫ সালেই গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন।

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, যে  মানুষটি সারা জীবন গরীব, অসহায় মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেলেন, একযুগের বেশি সময় জেল খাটলেন। সেই মহান ব্যক্তিত্বকে সপরিবারে কী  নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। পৃথিবীর ইতিহাসে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমি দেশে বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাই।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব ছিলেন মেজর জিয়া ও তার দোসররা। বিশ্বের ইতিহাসে সংগঠিত এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগরদের বিচারের আওতায় আনার সময় এসেছে ।

বঙ্গবন্ধু হতে পারে তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু  তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস। আমার বিশ্বাস,  জাতির পিতার  দেখানো পথ অনুসরণ করেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারে তার আজন্ম লালিত স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন  সোনার বাংলা। আমি যুব সমাজকে উদাত্ত কণ্ঠে বলতে চাই তোমরা শেখ বঙ্গবন্ধুকে  নিয়ে গবেষণা করো, তার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো ও নিজেদের এগিয়ে নাও। তবেই তার অসমাপ্ত স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/টিসি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন