বিজ্ঞাপন

‘ধর্ষণ ও হত্যার শিকার’ স্কুলছাত্রীর জীবিত প্রত্যাবর্তনে মামলা

August 25, 2020 | 5:48 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘ধর্ষণ ও হত্যার শিকার’ স্কুল ছাত্রীর জীবিত প্রত্যাবর্তনের ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ পাঁচ আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

পরে শিশির মনির বলেন, ‘গত ২৪ আগস্ট ‘ধর্ষণের পর নদীতে লাশ ফেলে দেয়া স্কুল ছাত্রীর ৪৯ দিন পর জীবিত প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ বিষয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। তখন আদালত লিখিতভাবে আবেদন করতে বলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ওই বেঞ্চে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ‘গত ৪ জুলাই, ২০২০ তারিখে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসা নিখোঁজ হয়। গত ৬ আগস্ট নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী দিসার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব এবং খলিল নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। স্বীকারোক্তিতে তারা বলে যে, তারা ৫ম শ্রেণির ছাত্রী দিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মৃতদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। জবানবন্দি গ্রহণের পর আসামিদেরকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু ২৩ আগস্ট দিসাকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে হয়েছে। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আসামিরা কীভাবে ধর্ষণ ও হত্যা সম্পর্কিত স্বীকারোক্তি দিয়েছে। যেখানে দিসা অক্ষত অবস্থায় ফেরত এসেছে।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, রিভিশনে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা এবং মামলা পরবর্তী প্রক্রিয়ার শুদ্ধতা, বৈধতা এবং যৌক্তিকতা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ওই আবেদনে আদালতে উক্ত মামলার নথি তলব করে পরীক্ষাপূর্বক উপযুক্ত আদেশ দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আবেদনে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, বাদী এবং আসামিদের বিবাদী করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এজেডকে/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন