রাবি শিক্ষার্থী সিফাত হত্যা: রায় বাতিল করে পুনঃবিচারের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটি পুনরায় বিচারের নির্দেশ দিয়েছন হাইকোর্ট।

আগামী ৩ মাসের মধ্যে মামলাটি পুনরায় বিচার শেষ করতে বিচারিক আদালতকে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করতে না পারলে আসামি আসিফের জামিন বিবেচনা করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ। অন্যদিকে বাদীদের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান শুনানি করেন। তবে শেষ সময়ে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে এ মামলায় সিফাতের বাবা আমিনুল ইসলাম নিজেও মামলার শুনানি করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সিফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরদিন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানের করা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিফাত আত্মহত্যা করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিনজন চিকিৎসক।

দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন অনুযায়ী তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সিফাতের স্বামী আসিফ প্রিসলি, আসিফের বাবা মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জোবাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।

এ মামলায় নিম্ন আদালত ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রায়ে সিফাত হত্যা মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে তার স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত।

তবে আসিফের বাবা মোহাম্মদ রমজান, মা নাজমুন নাহার নজলী ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান খালাস পান। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আপিল করে আসিফ। অপরদিকে আসিফের সাজা বৃদ্ধি ও তিন আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে বাদীপক্ষ। যা হাইকোর্টে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই