বিজ্ঞাপন

কেরাণীগঞ্জে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, ৩ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

September 21, 2020 | 7:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাস্তার নামকরণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে সাংবাদিকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা নেয়নি দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় সাংবাদিকের পরিবার থানায় অভিযোগ দিলেও উল্টো সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপস-মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই সাংবাদিক ও তার পরিবার।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদী নোয়াদ্দা গ্রামে দৈনিক যুগান্তরের স্থানীয় সংবাদদাতা শেখ আনোয়ার হোসেন নবীনের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় সাংবাদিকের বাবাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। বাড়িতে পুরুষ কাউকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

এ ঘটনায় শেখ আনোয়ারের চাচী খুশিনুর বেগম ওই এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে সন্ত্রাসী জামাল মিয়া (৫০) ও সামসু মিয়া (৫৫), সামছুর ছেলে ইয়াছিন হোসেন (৩২) , আলামীন (৩০)ও আশিক (২৮), জামাল মিয়ার মিয়ার ছেলে মো. হাসান (২৫) ও মো. হোসেন (২২), হবি মিয়ার ছেলে আব্দুল মিয়া (৪৮), সমসের আলী মোল্লার ছেলে ওসমান মোল্লা (৫০) ও তার ছেলে সাগর মোল্লার (২২) নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মামলা না নিয়ে আপস-মীমাংসার প্রস্তাব দেয় পুলিশ।

এদিকে, থানায় অভিযোগ দেওয়ায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ফের শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ওই পরিবারের ওপর আবারও হামলা চালায়ল সাংবাদিক নবীনের অভিযোগ, এসময় স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিক নবীন সারাবাংলাকে জানান, তার দাদা মৃত ফজর আলী নব্বইয়ের দশকে নোয়াদ্দা মসজিদ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তার দ্বিতীয় পুত্র শেখ মো. আলী হোসেন ২০০৪ সালে তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য নিজেদের জায়গায় একটি সড়ক নির্মাণ করে ‘মাদরাসা রোড’ হিসেবে নামকরণ করেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে জামাল মিয়া নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি তার মৃত পিতার নামে রাস্তাটির নামকরণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।

নবীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দলবলসহ রাস্তাটির পুরানো নামফলক উপড়ে ফেলে নতুন নামফলক লাগিয়ে দিলে আমার চাচা এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার চাচী থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু পুলিশ মামলাটি নিচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগ আমলে নেওয়ার মতো হলে অবশ্যই আমলে নিতাম।’ এরপর তিনি কল কেটে দেন এবং তার ফোন ধরেননি।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনাটি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, হামলার শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েও সাংবাদিক বিচার পায় না— এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একটি স্বাধীন দেশে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন