৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক ষোড়শী শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সুধারাম মডেল থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নিজেই একই গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে জসীম উদ্দিনের (২২) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানান, থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এদিকে মামলার এজাহারে জানা যায়, ওই সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সম্মতি ব্যতিরেকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রেম নিবেদন করতো জসীম উদ্দিন। পরে, জসীম ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় এবং বিয়ে করবে এমন আশ্বাস দিয়ে, এক মাস আগে বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।

শুধু তাই নয়, এক মাসে চারবার ধর্ষণ শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। সর্বশেষ, ১৫ সেপ্টেম্বরও তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে।

এখন, জসীম বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং ধর্ষণের বিষয়ও অস্বীকার করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা সারাবাংলাকে বলেন, তিনি তার মেয়েকে ছেড়ে জেলার বাইরে থাকেন। জসীম উদ্দিন সবসময় তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। ভয় ভীতি দেখাতো। কিন্তু, তার মেয়ে দীর্ঘদিন ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) তিনি বাড়িতে আসার পর রাতে তার মেয়েকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য জসীম আসে। এ সময় তার মেয়ে সব কথা তাকে বলে দেয়। পরে, তিনি জসীমকে বিয়ে করার কথা বলতেই, সে এখন বিয়ে করবে না বলে জানায়। এলাকাবাসীর পরামর্শে তারা থানায় মামলা দায়ের করেন – বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/একেএম