বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হবে নেপাল ম্যাচ

October 21, 2020 | 7:09 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে সাত মাস ধরে দেশের মাঠে নেই ফুটবল। প্রায় ১১ মাস ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে বাংলাদেশ। মাঝে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব স্থগিত করা হয়েছে। করোনা বিরতিতে প্রস্তুতি শুরু করেও মাঝপথেই থেমে যেতে হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। তাই নভেম্বরে নেপাল ম্যাচকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

আজ নেপাল ম্যাচকে সামনে রেখে অনলাইনে ভিডিও সংবাদ সম্মেলন করেছে ন্যাশনাল টিমস কমিটি ও জাতীয় দলের কোচরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নভেম্বরের ১৩ ও ১৭ তারিখ এ দুটো ম্যাচকে সামনে রেখে কোভিড প্রটোকলসহ ফুটবলারদের প্রস্তুতি নিয়ে জানান সংশ্লিষ্টরা। যাবতীয় বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বের কিছু অংশ পাঠকদের জন্য দেয়া হলো:

প্রশ্ন: সামনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলুন…

কাজী নাবিল আহমেদ: ‘৭ মাস ফুটবল প্রাকটিসের মধ্যে নেই। কোচরা ফুটবলারদের আলাদা নির্দেশনা দিয়ে গেছে। আমরা জেতার জন্য নামবো। তবে জেতাই সব কথা নয়। ফুটবল ফেরানোই সবচেয়ে বড় কথা।‘

বিজ্ঞাপন

প্রশ্ন: এই কম সময়ের মধ্যে ফুটবলারদের প্রস্তুত করতে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?

জেমি ডে: অনেকদিন পর মাঠে ফেরাটাই হলো বড় কথা। অনেকদিন থেকেই ফুটবলাররা মাঠে নেই। তাদের নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবো। ফিটনেসের কাজ করে ম্যাচের জন্য উপযুক্ত করে তোলার চেষ্টা করবো। পরের বছরটা খুবই ব্যস্ত বছর যাবে ফুটবলে। তাই এই ম্যাচদুটো বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হবে আশা করি।

প্রশ্ন: করোনাভাইরাসের এই সময়ে কোভিড-১৯ প্রটোকল কীভাবে মেইনটেইন করবেন?

বিজ্ঞাপন

নাবিল: নেপাল দল কোভিড টেস্ট করে ক্যাম্পে আসবে। আমাদের মিটিং আছে সরকারের নির্দেশনা মেনে আমাদের ফলো করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা থাকবেন। তাদের নির্দেশনা মেনেই আগাবো। উদ্দেশ্য একটাই প্রতিপক্ষ দল ও আমাদের দলকে নিরাপদ রাখা। খেলাটা সুন্দরভাবে করা।

প্রশ্ন: কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন সামনে?

নাবিল: যেহেতু আমরা ক্যাম্প শুরু করতে যাচ্ছি। যে কোন ধরনের বিপদ কমানো আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে।

প্রশ্ন: ২০ দিনের প্রস্তুতিতে কী কী থাকছে

বিজ্ঞাপন

স্টুয়ার্ট পল ওয়াটকিস: বহুমাস থেকে ফুটবল নাই বাংলাদেশে। ফিটনেস লেভেল কোথায় আছে সেটা দেখতে হবে। ক্লাবের খেলা ছিল। জাতীয় দলের খেলা ছিল না। তাই ফিটনেস প্রোগ্রাম দিয়ে শুরু করতে হবে। ফিটনেস কোচ এটা নিয়ে কাজ করবেন। তারপর চলে যেতে হবে টেকনিক্যাল ও টেকটিক্যাল প্রোগ্রামে। ম্যাচের উপযুক্ত করে তোলার চেষ্টা করবো।

প্রশ্ন: ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শক থাকতে পারবে কি না?

নাবিল: পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোতে আমরা দেখতে পারছি খুব বেশি দর্শক থাকে না। আমরা আশা করবো এখানেও যেনো স্বল্প পরিমাণ দর্শক রাখতে পারি। এটাও আন্ত: মন্ত্রণালয় মিটিংয়ে আলোচনা করবো। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিবে সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাবো। অল্প কিছু দর্শক হলেও আমরা যেন রাখতে পারি।

প্রশ্ন: বিদেশি কোচরা কীভাবে কোভিড প্রটোকল মেইনটেইন করবেন?

নাবিল: তিন দিন আগে কোভিড পরীক্ষা করা হবে। এটা একটা নির্দেশনা দিয়ে দিবে অবশ্যই। কিছুদিন পরে আমরা আবারও পরীক্ষা করাবো। ধাপে ধাপে পরীক্ষা করা হবে। প্রত্যেক ফুটবলারকে এ নিয়ে অবহিত করা হয়েছে। কোচ স্টাফদের অবহিত করা হয়েছে।

প্রশ্ন: নেপালের ক্ষেত্রে আমাদের পলিসি কী হবে?

নাবিল: তারা যখন আসবে ৭২ ঘণ্টা আগেই পরীক্ষা করে যারা নেগেটিভ তারা আসবে। আর আসার পরে তিন-চারদিনের মধ্যে আমরা পরীক্ষা করবো। কোন কিছু বিপদ যাতে না ঘটে সেটা দেখার চেষ্টা করবো।

প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুটো ম্যাচ সন্ধ্যায় হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট কোন সমস্যা হবে কী না?

নাবিল: আমাদের সন্ধ্যা বেলায় খেলা সম্ভব হবে কী না তা আগেই পরীক্ষা করে নিবো। ফ্লাডলাইট কতটুকু আছে দেখবো। তারপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো। কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা আমরা গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।

প্রশ্ন: নেপাল ম্যাচে লক্ষ্য কী?

জেমি: ফুটবল ফেরানোটাই লক্ষ্য। অবশ্যই জিততে চাইবো। দুটোরই কম্বিনেশন এটা। জেতাটাই মূল লক্ষ্য নয়। নেপাল র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আছে। শক্তিশালী দল তারা। আমরা ফুটবলারদের সাত মাস পরে খেলতে বলছি। কম সময়ের মধ্যে তাদেরকে খেলার মতো করে উপযুক্ত করে তোলা আসলে চ্যালেঞ্জিং। ২০ দিন যথেষ্ট নয় তবে একই অবস্থা নেপাল দলেরও। তাই এই সময়ের মধ্যেই যতটুকু সম্ভব আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হচ্ছে ২৪ অক্টোবর থেকে। প্যান ফ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে আইসোলেশনে থাকবেন ফুটবলাররা। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন তারা। জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফ দলের সঙ্গে যোগ দিবেন ২৯ অক্টোবর।

ক্যাম্পকে সামনে রেখে ৩৬ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে ফেডারেশন। ২৩ অক্টোবর রিপোর্টিং করবেন ফুটবলাররা। ২৪ তারিখ থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও কমলাপুরস্থ বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবেন ফুটবলাররা। নেপাল দল অনুশীলন করবে শেখ জামাল অনুশীলন মাঠে।

আগামী ২৫ অক্টোবর প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে কোভিড প্রটোকল, স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

সারাবাংলা/জেএইচ/এসএইচএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন