বিজ্ঞাপন

বাঘের ঘরে শাবকের প্রাণ বাঁচানোর ‘আপ্রাাণ’ চেষ্টা

November 26, 2020 | 1:51 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ১২ দিন আগে বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নিয়েছে তিন শাবক। এর মধ্যে দু’টিই মারা গেছে। জীবিত শাবকটির অবস্থাও সংকটাপন্ন। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, তৃতীয় এই শাবকটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

গত ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘিনী জয়া’র ঘরে জন্ম নেয় এই তিন শাবক। এর মধ্যে পরদিন একটি এবং ১৮ নভেম্বর আরও একটি শাবক মারা যায় বলে জানান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর শাহাদাৎ হোসেন শুভ।

চিকিৎসক শুভ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মা বাঘিনীর কাছ থেকে পর্যাপ্ত দুধ না পাওয়ায় দু’টি শাবক মারা গেছে। বাকি শাবকটি যেন পর্যাপ্ত দুধ পায়, সেই চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সেটি আগের তুলনায় কিছুটা ভালো আছে। তবে এরপরও সেটির সংকটাপন্ন অবস্থা কাটেনি। আমরা শাবকটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।’

বিজ্ঞাপন

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকায় কেনা একটি ১১ মাস বয়সী বাঘ ও ৯ মাস বয়সী বাঘিনী চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয় ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ঘটা করে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়, নাম দেওয়া হয় রাজ ও পরী।

সেই বেঙ্গল টাইগার রাজ-পরী দম্পতির ঘরে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তিনটি শাবকের জন্ম হয়। এর মধ্যে দু’টি ছিল ‘হোয়াইট টাইগার’ এবং আরেকটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। একটি সাদা বাঘ শাবক জন্মের পরদিনই মারা যায়। সাদা বাঘিনী ‘শুভ্রা’ বেঁচে আছে।

এছাড়া জীবিত কমলা-কালো ডোরাকাটা বাঘিনী ‘জয়া’ গত ১৪ নভেম্বর জন্ম দেয় তিনটি শাবকের। এই তিন শাবক জয়া’র প্রথম সন্তান, যদিও দু’টি মারা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সাদা বাঘিনী শুভ্রার ঘরেও কিছুদিনের মধ্যেই নতুন অতিথি আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ।

তিনি আরও জানান, জয়া’র শাবকসহ বর্তমানে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দু’টি বাঘ ও চারটি বাঘিনী আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা বেঙ্গল টাইগার পরী ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দু’টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। পরদিন একটি মৃত্যু হয়। বেঁচে থাকা শাবকটিকে প্রথমে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। এরপর তিন মাস পর্দায় ঢাকা খাঁচার ভেতরে রেখে নিবিড় পরিচর্যা দেওয়া হয়। সুস্থ বাঘ ছানাটিকে পরে খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হয়। এর নাম রাখা হয় করোনা।

জয়া’র ঘরের নতুন অতিথিকেও একই প্রক্রিয়ায় সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টার কথা জানিয়ে শুভ বলেন, ‘নিয়মিত খাবার গ্রহণ করলে মাসখানেক পরে বাঘ ছানাটিকে নিরাপদ বলা যাবে।  আশা করছি, এটিকে আমরা সুস্থ রাখতে পারব। বাচ্চাটির নিরাপত্তা ও সংক্রমণের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে একে সবার কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। যারা শাবকের যত্নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তারা ছাড়া আর কাউকে কাছে যেতেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন