বিজ্ঞাপন

২ জনের আত্মহত্যা, একজনের পলায়ন, চতুর্থ স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ

December 31, 2020 | 5:30 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত গৃহবধূর পরিবারের দাবি, স্বামী রবিউল ইসলাম একজন ‘সিরিয়াল কিলার’, সেই তাকে খুন করেছে। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছে, গলায় ফাঁস নিয়ে মৌসুমী আত্মহত্যা করেছে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে শিলাইদহে শ্বশুরবাড়িতে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। নিহত গৃহবধূর নাম মৌসুমী খাতুন (২৫)।

নিহত মৌসুমীর মামা মতিউর রহমান জানান, তার ভাগ্নি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো। দেড় বছর আগে শিলাইদহ গ্রামের রবিউল ইসলামের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে বসেছিল মৌসুমী। বুধবার রাতে তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে দেয় স্বামী রবিউল। ঘরের দরজাও খোলা অবস্থায় ছিলো।

নিহত মৌসুমীর মামা আরও জানান, রবিউল ইসলামের ৪ নম্বর স্ত্রী মৌসুমী। নিহতের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। আগের তিন স্ত্রীর দু’জনকে রবিউল হত্যা করে, তবে সেগুলোকেও আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

মৌসুমীর ভাই বলেন, ‘পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আত্মীয় হওয়ার কারণে পূর্ববর্তী মামলাগুলো থেকে রবিউল বারবার বেঁচে গেছে।’

এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলা নং- ৬২/২০। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রবিউলের আগের দুই স্ত্রীও আত্মহত্যা করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী কুমারখালীর শিলাইদহের মাছপাড়া গ্রামের সাকের আলীর মেয়ে জোসনার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্বিতীয় স্ত্রী মনিরা খাতুনের লাশও ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। মৃত্যুর সময় দ্বিতীয় স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। আর তৃতীয় স্ত্রী রহিমা খাতুন সরকারি চাকরিজীবী, তিনি সংসার ছেড়ে পালিয়ে যান। সর্বশেষ চতুর্থ স্ত্রী মৌসুমীর লাশ উদ্ধার হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন