বিজ্ঞাপন

অনলাইনে উপস্থিতি কম, ক্যাম্পাসে ফিরতে চায় রাবি শিক্ষার্থীরা

January 10, 2021 | 10:51 am

আবু সাঈদ সজল, রাবি করেসপন্ডেন্ট

রাজশাহী: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) পরিস্থিতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস চালু হলেও তাতে উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে। অনলাইনে নয়, সরাসরি ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করতে চান শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

গত ৯ জুলাই থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথমের দিকে বিভাগ ভেদে এসব ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৫০ শতাংশের ওপরে থাকলেও দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতির পরিমাণ কমে ২৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে।

অনলাইন ক্লাসে আগ্রহ কম থাকার বিষয়টি জানিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী বলছেন, তারা অনলাইনে ক্লাস করতে এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। অন্যদিকে অনেক শিক্ষক আছেন যারা হঠাৎ করেই দীর্ঘসময় ধরে ক্লাস নিয়ে থাকেন। তা ছাড়া সশরীরে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে আনন্দের সঙ্গে ক্লাস করার সুযোগ থাকলেও ভার্চুয়াল ক্লাসে সেটির সুযোগ নেই। কিছু কিছু কোর্স হাতে কলমে শেখার। ফলে সেসব কোর্সে অনলাইনে ক্লাস করে তারা কিছুই বোঝেন না।

তারা বলছেন, দীর্ঘদিন বাড়িতে বন্দিজীবন ও নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় সেশনজটের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। সরাসরি ক্লাসে উপস্থিতির বিকল্প নেই বলে দাবি করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি সরকারি ঘোষণা এলেই তারা ক্যাম্পাসে খুলে দেবেন।

চলতি বছরের গত ২ জানুয়ারি থেকে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কা নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বক্কর বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশেরই বাড়ি গ্রামাঞ্চলে। গ্রামে ইন্টারনেট গতি ততটা বেশি না। যে কারণে ক্লাসের কথা ভালো বোঝা যায় না। আমাদের গণিত ও পরিসংখান কোর্স আছে। এই কোর্সগুলো অনলাইনে বোঝা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই যদি ক্যাম্পাস খুলে দেয় তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম।’

বিজ্ঞাপন

বাংলা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘এর আগে কখনও অনলাইনে ক্লাস করা হয়নি। আর আমাদের ক্লাসও নিয়মিত হয় না। শিক্ষকেরা হঠাৎ করে বলে দেয় আজকে ক্লাস আছে। তাই অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ‘আমিও চাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। কিন্তু করোনার ব্যাপকতায় তারা আবার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। আমাদেরও এরকম হতে পারে। আর কিছুদিনের মধ্যে হয়তো করোনার ভ্যাক্সিন চলে আসবে আবার শীতও চলে যাবে। তাই আমার মনে হয় ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই বেশি ভালো হবে।’

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুলতেও রাবি কর্তৃপক্ষের আপত্তি নেই।’ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা বা না খোলার বিষয়টি সরকারি সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন