বিজ্ঞাপন

সুন্দরবনে আগুন, ৩ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

February 8, 2021 | 9:01 pm

লোকাল করেসপন্ডেন্ট

মোংলা (বাগেরহাট): পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ও ধানসাগর ক্যাম্পের মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লেগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বন বিভাগ বলছে, আগুন লাগার ঘণ্টা তিনেক পর তা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানসাগর ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বনের ভেতর দিয়ে ধোঁয়া উড়তে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বন বিভাগকে খবর দেয়। পরে দুপুর ১টার দিকে ধানসাগর ক্যাম্পের স্টাফরা সেখানে  যান। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বন বিভাগ জানায়, আগুন তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

এর আগে, দুপুরে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্থানীয় লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। এর মধ্যেই ওই এলাকার চারপাশে ফায়ার লাইন কেটে দেয় বন বিভাগ। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন পুরোপুরি নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। এর মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানায় বন বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বেল্লাল হোসেন জানান, দুপুর ১টার দিকে তারা বনে আগুন লাগার খবর পান। তারপর তারা সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে, এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ওসি।

ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিপিজে সদস্য সোলায়মান হোসেন বনের মধ্যে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখে আমাকে ফোন করেন। পরে আমি সিপিজি সদস্য, স্থানীয় লোক ও বনরক্ষীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। তারা এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এর মধ্যেই ধানসাগর স্টেশনের টহল ফাঁড়ির এক কিলোমিটার ভেতরে প্রায় তিন শতাংশ বনভূমি পুড়ে গেছে। তবে বড় কোনো গাছ আগুনে পোড়েনি বলে জানান তিনি।

আগুন লাগার কারণ জানতে ফরিদুল বলেন, বিড়ি-সিগারেটের অব্যবহৃত অংশ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা করছি। আগুন লাগার কিছু আগে অল্প বয়সী কিছু ছেলে বনের মধ্য থেকে বের হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।

বিজ্ঞাপন

শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা এস এম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা আসার প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বনের গাছের পাতা পড়ে মাটি প্রায় দেড় দুই ফুট উঁচু পাতার স্তর তৈরি হয়েছে। যার ফলে মাঝে মাঝে আগুন জ্বলে উঠছে। এ কারণে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছে।

সন্ধ্যার দিকে পূর্ব সূন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, আগুন সম্পূর্ণ নিভে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তবে ওই এলাকায় বনরক্ষীদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন