বিজ্ঞাপন

উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ধানের নতুন জাত আনলো ব্রি

February 10, 2021 | 12:36 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উচ্চ জিংকসমৃদ্ধ ‘ব্রি ধান ১০০’ নামের ধানের নতুন একটি জাতের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সভায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত লবণাক্ততা সহিষ্ণু দেশি পাটের (বিজেআরআই দেশি পাট-১০) জাতও অবমুক্ত করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি মো. মেসবাহুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বিএডিসির চেয়ারম্যন মো. সায়েদুল ইসলাম, ব্রি মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. আশম আনোয়ারুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ব্রি উদ্ভাবিত শততম জাতের (ব্রি ধান১০০) অবমুক্তকরণ এটি। ব্রি বলছে, ‘ব্রিধান ১০০’ জাতটি উচ্চ পরিমাণে জিংকে সমৃদ্ধ। এতে জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৭০ মিলিগ্রাম। দেশের ১০টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে এই ধানের গড় ফলন পাওয়া গেছে প্রতি হেক্টরে ৭ দশমিক ৬৯ টন। জাতটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। বোরো মৌসুমে চাষের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই জাতটি।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া বিজেআরআই দেশি পাট-১০ জাতটি স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যম মাত্রার লবণাক্ততা সহিষ্ণু। এটি দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় আবাদের উপযোগী। এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো— গাছের বয়স ১০৫ থেকে ১১৫ দিন হলেই কেটে রোপা আমন ধান লাগানো যায়। এবং আমন কেটে রবি ফসল চাষ করা যায়। খুলনা ও বরিশালে পাঁচটি ট্রায়ালে হেক্টর প্রতি আঁশের ফলন ২ দশমিক ৫৭ টন ও পাট কাঠির ফলন ৭ দশমিক ২১ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে।

এছাড়া, আগামী মৌসুমের জন্য পাট বীজ আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে বোর্ড। ২০২১-২২ উৎপাদন বর্ষে পাট বীজের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩০০ টন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন