বিজ্ঞাপন

ক্ষমতায় টিকে থাকতে দমনপীড়ন: বিএনপি

March 30, 2021 | 7:50 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে মিছিলে বাধা ও সমাবেশে ‘অতর্কিত হামলা’ এবং নগর কমিটির আহবায়ক শাহাদাত হোসেনসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তাদের অভিযোগ, জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন জোরালো হওয়ায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির ওপর দমনপীড়ন শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) এক যৌথ বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা আরও বলেন, পুলিশের অতর্কিত হামলায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিনা উসকানিতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। বিএনপি নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং হামলা ও গ্রেফতার করে ক্ষমতার মসনদ সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছে সরকার।

চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলাকে হাস্যকর উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘শাহাদাত হোসেন একজন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি একজন পেশাজীবী চিকিৎসক। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি জনতার মেয়র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। মানুষকে বিনা টাকায় চিকিৎসা করেন, সাহায্য করেন। এমন একজন জনপ্রিয় নেতাকে বিনা কারণে চেম্বার থেকে রোগী দেখার সময় পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা হাস্যকর, বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। চট্টগ্রামে সরকারবিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

যৌথ বিবৃতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির ও এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন অবিলম্বে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘাতে সারাদেশে হতাহতের ঘটনায় সোমবার বিকেলে বিএনপি চট্টগ্রাম নগরীতে সমাবেশের আয়োজন করে। নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক দখল করে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হলে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।

পুলিশ নাসিমন ভবনে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করে। পরে নগরীর পাঁচলাইশে ডা. শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে তাকে এবং ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরীকে আটক করে।

এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান, নগর কমিটির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এবং নাসিমন ভবন থেকে আটক ১৬ জনসহ ৫৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ট্রাফিক সার্জেন্ট নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করেছেন। এতে শামীম, শাহাদাত, সুফিয়ান, বক্কর, মারুফুল হকসহ ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তবে গতকাল সংঘর্ষের আগে দুপুরে নগরীর চকবাজার থানায় বিএনপি নেত্রী লুসি খান কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে শাহাদাতের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন