বিজ্ঞাপন

৬ষ্ঠ ধাপে ভাসানচরে ২১২৮ রোহিঙ্গা

April 2, 2021 | 4:28 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নোয়াখালী: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে নোয়াখালীর ভাাসানচরে পৌঁছেছেন আরও ২ হাজার ১২৮ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ৫১২ জন পুরুষ ও ৬১৩ জন নারী, শিশু রয়েছে এক হাজার তিনটি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ছয়টি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে তারা ভাসানচরে পৌঁছান। এসময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ভাসানচরে পৌঁছানোর পরপরই রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা। পরে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম অংশে আসা রোহিঙ্গাদের দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়্যারহাউজে। সেখানে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেন। সেখানেই তাদের দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যারহাউজে সমবেত করে ব্রিফ করা হয়। পরে ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে, সকাল ৯টার দিকে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়ন-৩-এ স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় মোট ২ হাজার ১২৮ জন রোহিঙ্গা নৌবাহিনীর ছয়টি লজিস্টিক জাহাজে করে চট্টগ্রাম বোটক্লাব জেটি থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন।

এর আগে, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম সেই দিনটিতে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে। ভাসানচরের ৭, ৮ ,৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়। প্রথম ধাপে ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০টি। বাকিদের মধ্যে পুরুষ ৩৬৮ জন, নারী ৪৬৪ জন। এরপর ষষ্ঠ ধাপের আগ পর্যন্ত পাঁচ ধাপে মোট ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সব অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এতে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, ভাসানচরের আশ্রয় শিবিরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন