করোনায় আরও ৭৭ জনের প্রাণ গেল, শনাক্ত ২৯৫৫ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৭৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ৩০৫ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জন।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক বুলেটিনে  এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন।

শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ‍সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০।

২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৪২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২০৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৪৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৯, রাজশাহীতে ৫, খুলনায় ৭, বরিশালে ৫, সিলেটে ২, রংপুরে ১ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ এবং ৩৪ জন নারী। এদের মধ্যে মাত্র ১ জন বাসায় মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১১ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ২৬৯ জন এবং নারী ৩ হাজার ৩৬ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫২ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এ ছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী রয়েছেন ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী রয়েছে আটজন এবং ২১-৩০ বছর বয়সী রয়েছেন তিনজন।

করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট পরীক্ষাগারের সংখ্যা ছিল ৩৫৮টি। এর মধ্যে আরটি পিসিআর ল্যাব সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১২৩টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩৪টি এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ২০১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষাসহ এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টি।

মৃত ৭৭ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৯ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২৭ জন। এ ছাড়া একজন বাসাতে মারা গেছেন।

বুলেটিনে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের স্থলবন্দরসমূহে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬৯ জনকে, সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং হয়েছেন ১২৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় মোট স্ক্রিনিংয়ের আওতায় এসেছেন ২১০৪ জন।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভ্যাকসিনের জন্য সর্বমোট নিবন্ধন ৭২ লাখ ৪৩ হাজার ৭২০ জন। এ ছাড়া ২৩ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩২৫ জন। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন মোচ ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৬১৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬১ জন। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন মোট ২৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৪ জন।

সারাবাংলা/একে