বিজ্ঞাপন

ভুয়া টিআইএন দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগ

June 29, 2021 | 6:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মঠবাড়িয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এবং পুলিশ কর্মকর্তা ভাইয়ের প্রভাবে ভুয়া টিআইএন ও আয়কর সনদ দিয়ে মনোনয়নপত্র বৈধ করার অভিযোগ উঠেছে। স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী এই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে হোসাইন মোশারেফ সাকু বলেন, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজউদ্দীন আহম্মেদ কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে ভুয়া টিআইএন নম্বর ব্যবহার করেছেন। ১৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ভুয়া আয়কর প্রত্যায়নপত্র এবং দুইটি জন্ম তারিখ ব্যবহার করেছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছেন।

রিয়াজ উদ্দিন ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দাদা শ্বশুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির সহযোগিতায় জামায়াত নেতা ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ করেন মোশারেফ সাকু। তিনি বলেন, ২৪ মার্চ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীকে তা অবহিত করা হলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করে। এ ঘটনায় মামলা হলেও রিয়াজ উদ্দিনের ছোট ভাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান রিপনের হস্তক্ষেপে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর উপজেলাব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে তিন মাস পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকার ভোটারদেরক ভয়ভীতি দেখিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সহায়তায় রিয়াজউদ্দীন জয় লাভ করে।

বিজ্ঞাপন

মোশারেফ আরও বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ঠিকাদারি কাজ করে ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত বেআইনিভাবে এথেনা ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে পূবালী ব্যাংক মঠবাড়িয়া শাখা থেকে ২ কোটি ৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন। সরকারি দফতরে দেওয়া কাগজপত্রে তার দু’টি জন্ম তারিখ পাওয়া গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। দীর্ঘ চার মাসেও ওই অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি। এতে অভিযোগের সুরাহা পাঁচ বছরেও হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদনেও নির্বাচনের মনোনয়নপত্রে ভুয়া টিআইএন নম্বর ব্যবহারের বিষয়টি উঠে এলেও বাছাইপর্বে ওই মনোনয়ন কিভাবে বৈধ হলো, তা তদন্ত করে প্রকাশের জন্য সরকার প্রধানসহ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেছেন হোসাইন মোশারেফ সাকু।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন