বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গমাতার আদর্শ চর্চায় নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে’

August 9, 2021 | 11:53 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন-আদর্শ চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আরও বেশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তাই বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রস্তাব করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

এ সময় ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবন, আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধে তার অপরিসীম অবদান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অজানা তথ্য জানতে পারবে। বঙ্গমাতার জীবন-আদর্শ চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম আরও বেশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে জাতির পিতার নেপথ্য শক্তি, সাহস ও বিচক্ষণ পরামর্শক ছিলেন বঙ্গমাতা। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন এক মহীয়সী নারী এবং বঙ্গবন্ধুর বন্ধু ও পথ প্রদর্শক।’

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গমাতা কারাগারে বঙ্গবন্ধুর জন্য খাবার নিয়ে যেতেন, আর নেতাকর্মী ও দলের জন্য নির্দেশনা নিয়ে এসে তাদের কাছে পৌঁছে দিতেন। কর্মী ও কারাবন্দী নেতাদের পরিবারের আর্থিক সহায়তা করতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সকল মামলা নিজেই পরিচালনা করতেন তিনি। কঠিন সময়ে সংসার পরিচালনা, সন্তানদের লেখাপড়া ও সকল দায়িত্ব ধৈর্য্য এবং সাহসের সঙ্গে পালন করেছেন বঙ্গমাতা।

বঙ্গমাতার সঙ্গে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী হয়েও বঙ্গমাতা ছিলেন নিরহংকার, আন্তরিক, অমায়িক, অতিথিপরায়ণ ও কর্মীবান্ধব একজন মমতাময়ী মা। তিনি ছিলেন দলের নেতাকর্মীদের পরম নির্ভরতা ও আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল।

এ সময় বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনের ওপর গবেষণার প্রস্তাব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে উপচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের অবিশ্বাস্য সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে বঙ্গমাতার সমর্থন ও নিঃস্বার্থ সহযোগিতা।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন