বিজ্ঞাপন

বিধিনিষেধ কাটলেও যাত্রীর ভিড় কম কমলাপুরে

August 11, 2021 | 1:33 pm

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া ২১ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হলেও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকার বাইরে আসা যাওয়া করছেন না। কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের প্রথমদিন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে কাউন্টার কিংবা প্লাটফরমে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীদের ভিড় কম। কেউ কেউ জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য বের হলেও তাদের মধ্যে ছিল করোনার আতঙ্ক ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ আগষ্ট) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।

দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে স্টেশন যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও করোনার কারণে এবার তা নেই। আজ থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করার কথা থাকলেও যাত্রীর অভাবে তা পূরণ হচ্ছে না। ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইনে এবং বাকি ৫০ শতাংশ টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হলেও অধিকাংশ কাউন্টারই ফাঁকা দেখা গেছে। এদিকে করোনা মহামারি প্রকোপ মোকাবিলায় মাস্ক ও টিকেট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্লাটফরমে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বুধবার থেকে সারাদেশে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া লোকাল ট্রেন সারাদেশে চলাচল করবে। এর মধ্যে ২৫ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে সারাদেশের বিভিন্ন রোডে আসা যাওয়া করবে। এছাড়াও ১২ জোড়া লোকাল মেইল ট্রেন কমলাপুর থেকে আসা যাওয়া করবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ১০টি ট্রেন কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। তবে কোনো ট্রেন তখন পর্যন্ত ঢাকা পৌঁছেনি। কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রযেছে বলাকা কমিউটার, তুরাগ এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, পারাবত এক্সপ্রেস, সোনারবাংলা, তিস্তা, মহানগর প্রভাতি, মহুয়া কমিউটার, কর্ণফুলী এবং তিতাস।

রফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব ট্রেন চলছে। কোনো যাত্রীকে টিকেট ও মাস্ক ছাড়া প্লাটফরমে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার আগে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। স্টেশনের প্রবেশ পথে যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হযেছে।

তিনি বলেন, সব ট্রেন সিটের অতিরিক্ত কোনো যাত্রী নেওয়া হচ্ছে না। এই কারণে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ নেই।

বিজ্ঞাপন

তিতাস কমিউটার ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িযা যাচ্ছেন জাফর আহমেদ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, করোনার আতঙ্ক তো আছেই।  মা অসুস্থ, গত ঈদে বাড়ি যেতে পারি নাই। তাই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করায় রিস্ক নিয়েই বাড়ি যাচ্ছি।

এদিকে স্টেশনে দায়িত্ব পালনকারী আনসার সদস্য বাছিস আলী সারাবাংলাকে বলেন, করোনা নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। ফলে সরকার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও খুব বেশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন না। আর এই কারণে স্টেশনে কোন ভিড় নেই।

সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন