বিজ্ঞাপন

৯০ এর মতো আরও একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে: মির্জা ফখরুল

October 10, 2021 | 4:20 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নব্বইয়ের মতো আরও একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

স্বৈরাচারবিরোধী গণ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নব্বইয়ের ছাত্র নেতারা এ স্মরণ সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য শহিদ জেহাদ প্রাণ দিয়েছিলেন, রক্ত দিয়েছিলেন। শুধু শহিদ জেহাদ না, নব্বয়ের আন্দোলনে অনেকেই প্রাণ দিয়েছিলেন। প্রতিটি পরিবর্তনে যে আন্দোলন, যে অভ্যুত্থান সেখানে প্রাণ দিতে হয়েছে, বুকের রক্ত রাজপথে ঢেলে দিতে হয়েছে। ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। সেখানেও লাখ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে কেউ জয়ী হয়, কেউ শহীদ হয়। আজ সেই সময় উপস্থিত হয়েছে। ১৯৯০ সালে গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেদিনকার ছাত্র-জনতা স্বৈরাশাসকের তক্ততাউস উল্টে দিয়েছিল। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আবার সেই ধরনের আরও একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি আন্দোলনে আমাদের ছাত্ররাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে যেমন আমান উল্লাহ আমানরা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সফল হয়েছেন। ঠিক একইভাবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে এই ছাত্ররাই সফল হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও সেই ছাত্র-জনতার অংশ গ্রহণেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম।’

‘আজ ভয়াবহ একটা পরিস্থিতি সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, সেই স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের যে অর্জন তা হরণ করে নিয়ে গেছে এই হাসিনা সরকার। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একটা ভ্রান্ত রায়ের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পরিবর্তন করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার ফলে আজকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে বসে আসে। আমাদের বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে, পার্লামেন্ট ধ্বংস করেছে। আমাদের প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই’, বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, আসাদুজ্জামান রিপন, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, জহিরুদ্দিন স্বপন, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, কামরুজ্জামান রতন, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, হেলেন জেরিন খান, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, আব্বুদল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। সভা পরিচালনা করেন ফজলুল হক মিলন।

বিজ্ঞাপন

স্মরণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন লন্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন