October 12, 2021 | 7:07 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটেনে প্রাথমিক অবস্থায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে না পারা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, নিজ দেশের বিজ্ঞানীদের সমর্থন করার মাধ্যমে সরকার পরিস্থিতি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছে আর সংক্রমণ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে চেয়েছে। আর সেই কারণেই প্রথম লকডাউন আরোপে দেরি হয়, প্রাণহানি বাড়ে।
তবে, করোনা মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারের সফলতাও রয়েছে। বিশেষ করে ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে। গবেষণা থেকে শুরু করে উন্নয়ন এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরুর সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আইনপ্রণেতারা ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হেলথ অ্যান্ড সোস্যাল কেয়ার কমিটি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিটির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত প্রতিবেদনে এসব অনুসন্ধান হাজির করা হয়েছে। দেড়শ পাতার প্রতিবেদনে কমিটিগুলো মহামারির পুরো সময় জুড়ে সফলতা এবং ব্যর্থতার নানা ধরণ সামনে এনেছে। এই মহামারিতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আইনপ্রণেতারা একে এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বড় শান্তিকালীন চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়েছেন।
এই কমিটিগুলোর প্রধান রক্ষণশীল দলের আইনপ্রণেতা জেরেমি হান্ট এবং গ্রেগ ক্লার্ক বলেছেন, মহামারির প্রকৃতিটাই এমন ছিলো যে সবকিছু ঠিকঠাক হওয়াটাই অসম্ভব ছিলো। প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, যুক্তরাজ্যে কিছু বড় অর্জনের সঙ্গে কিছু বড় ভুলও হয়েছে। উভয় দিক থেকে শিক্ষা নেওয়াটাই জরুরি।
সারাবাংলা/একেএম