বিজ্ঞাপন

নাইজেরিয়ায় ব্যস্ত হাটে বন্দুকধারীদের হামলায় প্রাণ গেল ৪৩ জনের

October 19, 2021 | 1:37 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এ নৃশংস হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। সোমবার রাজ্যটির গভর্নরের দফতর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে গভর্নর আমিনু ওয়াজিরি টামবুওয়াল জানিয়েছেন, রাজ্যের গোরোনিও এলাকার একটি সাপ্তাহিক হাটে রোববার হামলা শুরু করে সোমবার সকাল পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী ইলিয়াসু আব্বা রয়টার্সকে বলেন, ‘ক্রেতা ও বিক্রেতায় হাট যখন সরগরম তখনই বন্দুকধারীরা এসে তাণ্ডব শুরু করে।’

তিনি জানান, হামলাকারীরা চারদিক থেকে ঘিরে ধরে হাটে থাকা লোকজনকে লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি শুরু করে। হাটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও হামলাকারীরা সংখ্যায় অনেক বেশি হওয়ায় তারা আর পেরে ওঠেনি।

বিজ্ঞাপন

ইলিয়াসু আব্বু আরও জানান, হামলার সময় ওই সাপ্তাহিক বাজারের দোকানগুলোতে বহু সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। তার ভাষায়, ‘বাজারটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পর বন্দুকধারীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। মানুষকে হত্যা করতে তারা সবদিকেই গুলি চালাচ্ছিল।’

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি নাইজেরীয় পুলিশের মুখপাত্র।

গত কয়েক বছরে বন্দুকধারীরা নাইজেরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বহু লোককে হত্যা করেছে এবং মুক্তিপণের জন্য শত শত জনকে অপহরণ করেছে। এতে দেখা দেওয়া নিরাপত্তা সংকট সামলাতে ওই অঞ্চলের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করে সরকার, পুলিশের তৎপরতাও বাড়ানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে পুরো জামফারা রাজ্যে সব ধরনের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। এরপর কাটসিনা, সোকোটো ও কাদুনা রাজ্যে সামরিক অভিযান জোরদার হলে রাজ্যগুলোর কয়েকটি অংশেও একই নির্দেশনা জারি করে সরকার।

গত সপ্তাহে নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান বলেছিলেন, টেলিযোগাযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তটি দস্যুদের দমনে রত সশস্ত্র বাহিনীর সহায়ক হওয়ায় এটি বজায় রাখা হবে।

কিন্তু এর কারণে ওই অঞ্চলে কী ঘটছে তা জানা কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দৈনন্দিন জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সোকোটোতে আরও নিরাপত্তা বাহিনী ও উপকরণ মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়েছেন গভর্নর টামবুওয়াল।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে।

নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন