বিজ্ঞাপন

টুকুর দাবি— বিএনপির আমলে সীমান্তে হত্যা হয়নি

November 18, 2021 | 10:15 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

লালমনিরহাট: বিএনপির শাসনামলে সীমান্তে হত্যা হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরাও সরকারে ছিলাম। আমাদের সময় কিন্তু সীমান্তে হত্যা হয়নি। এখন হচ্ছে কেন? সীমান্তে হত্যার ঘটনা লজ্জার। এ লজ্জা ভারতের নয়, আপনাদের (আওয়ামী লীগ)।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের বলাইরহাট এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহতদের মরদেহ ফেরত ও হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি দাবি করেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, পাকিস্তানিরা যেভাবে আমাদের অধিকার হরণ করেছিল, সেই অধিকার ফেরাতে দেশের দামাল ছেলেরা অস্ত্র হাতে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। আমরা স্বীকার করি, সে সময় ভারত আমাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। কিন্তু ৫০ বছর পর আমরা এটা কী দেখছি? ভারত কিন্তু পাকিস্তান সীমান্তে গুলি করছে না, অথচ আমাদের দেশে গুলি চালাচ্ছে! আবার তাদের গুলিতে নিহতদের মরদেহও পাওয়া যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে টুকু বলেন, পুলিশের সহায়তায় মধ্যরাতে ভোট ডাকাতি করে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন। তাই ভোটে সহায়তা করায় আজকের প্রতিনিধিনিরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সালাম দিয়ে চলেন। আমাদের টাকায় যাদের বেতন হয়, তাদের দিয়েই আমাদের গুলি-গুম-খুন করানো হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন, ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। জনগণের টাকায় বেতন নিয়ে জনগণের বুকে গুলি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল, বিএসএফের গুলিতে নিহত ইদ্রীস আলীর ছোট ভাই একরামুল হকসহ অন্যরা।

গত ১২ নভেম্বর ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার বুড়িরহাট সীমান্তের ৯১৭ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাব-পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে বিএসএফের গুলিতে দু’জন নিহত হন। নিহতরা হলেন— ওই এলাকার আলতাব মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান ভাষানি (৪০) ও মোসলেম উদ্দিনের ছেলে ইদরিস আলী (৪২)। ঘটনার ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের মরদেহ ফেরত আসেনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন