বিজ্ঞাপন

অরক্ষিত বিমানবন্দরে প্রতিদিনই ঢোকে গরু-ছাগল

December 3, 2021 | 7:55 am

ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: কক্সবাজার বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের ভাঙা অংশ আর কাঁটাতারের ছেঁড়া দিয়ে বিনা বাধায় প্রতিদিনই ঢুকছে গরু-ছাগল। রানওয়ের কাছেই এইসব গবাদি পশুরা চরে বেড়ায়। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ঘটেছে দুর্ঘটনা।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা বলছেন, সীমানায় নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ এবং ফাঁক-ফোকরগুলো বন্ধ করা না হলে যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের কিছু অংশ ভাঙা। পাশাপাশি কাঁটাতারের বেড়ার বেশ কয়েক জায়গায় রয়েছে ছেঁড়া। এই পথ দিয়ে প্রতিদিনই ঢুকছে গরু-ছাগল। রানওয়েতে গরু চরার কারণে গত মঙ্গলবারও বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের ৯৪ জন যাত্রী। বিমানের ওই ফ্লাইটের পাখার ধাক্কায় রানওয়েতে দু’টি গরু মারাও যায়।

বিজ্ঞাপন

বিমানবন্দরের আশপাশের লোকজন বলছেন, সীমানা প্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রতিদিন গরু-ছাগল ভেতরে ঢোকে। তেমন কেউ বাধা দেয় না। এমনকি অনেক লোকজনও যাতায়ত করে। আনসার সদস্য বা যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন, তারা যদি বাধা দিতো তা হলে এমন হতো না।

স্থানীয় কাউন্সিলর (১ নম্বর ওয়ার্ড) আক্তার কামাল জানান, বিমানবন্দরে গরুর সঙ্গে বিমানের যে সংঘর্ষ ঘটেছে এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। বিমানবন্দরের বাউন্ডারির ফাঁক-ফোকরগুলো বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে হয়ত বড় কিছু হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়ে যাবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার রানওয়েতে গরু প্রবেশের ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৪ আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা। তবে এ নিয়ে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করার পরও ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার এপিবিএন-১৪ (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান) এর পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক জানান, বিমানবন্দরের প্রাচীরের কিছু অংশ খোলা থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনার পর এপিবিএন পুলিশ সদস্যদের ঢেলে সাজানো হচ্ছে। যেসব জায়গায় ছোট-খাট ক্রটি আছে তা শনাক্ত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,‘ বিমান বন্দরের নিরাপত্তার জন্য এপিবিএনের পাশাপাশি ১২৯ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। সিভিল এভিয়েশন নিরাপত্তা কর্মী ও জেলা পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে। এই ৪ সংস্থা বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে দ্বিতীয়বার এমনটা না ঘটার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

এছাড়া এপিবিএন এর পুরো একটি ব্যাটালিয়ান এখানে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন