বিজ্ঞাপন

‘আবরার হত্যা মামলার রায়ে প্রমাণ— দেশে আইনের শাসন আছে’

December 8, 2021 | 5:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় দেশে আইনের শাসন রয়েছে বলেই প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলো সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। সরকারের দায়িত্ব এসব মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা— আইনের শাসন দেশে বিরাজ করছে। সেই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সফল।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে আইনমন্ত্রী আবরার হত্যা মামলা নিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানান। এসময় সাম্প্রতিক আরও ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

আবরার হত্যা মামলার রায়ে প্রকৃত বিচার নিশ্চিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এই মামলায় ২৫ আসামির মধ্যে তিন জন শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মামলাটির রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের পুরো কপি আমি পাইনি। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, এই রায়ে প্রকৃত বিচার বা ন্যায় বিচার করা হয়েছে। এই মামলাটিতে যেভাবে রাষ্ট্রপক্ষ কাজ করেছে, আমি আপনাদের মাধ্যমে তাদের ধন্যবাদ জানাই।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

আবরার হত্যাকাণ্ড দেশজুড়েই ছিল আলোচিত। এমন আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সমাজে কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড ঘটে, সেগুলো আলোড়ন তৈরি করে। এগুলোর বিচার যদি না করা হয়, তাহলে সমাজে হতাশা দেখা দেয়। বুয়েটের আবরার, ফেনীর নুসরাত (ফেনীর মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান, যাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা) কিংবা সিলেটে পায়ুপথে বাতাস দিয়ে হত্যা করা শিশু— এসব মামলা সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। তাই এগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। জনগণকে আশ্বস্ত করা, দেশে আইনের শাসন বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার সরকার সেটি করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, শিবির সন্দেহে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে নৃশংয়সভাবে হত্যা করা হয়েছিল। যতদূর শুনেছি, আসামিরা তাকে হত্যার পর উল্লাস করেছে। এই মামলায় সাক্ষ্যসাবুদ, দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক— সবকিছু শোনার পর আদালত এই রায় দিয়েছেন। আমার মনে হয় এই রায়ের মাধ্যমে এটা প্রমাণ করতে পেরেছি— আমাদের দেশে আইনের শাসন আছে। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি— কেউ এরকম হত্যাকাণ্ড বা কোনো ধরনের অপরাধ করে অপরাধীরা নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না, রাজনীতি করতে পারবে না।

মামলাটির পরবর্তী প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে সগযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আনিসুল হক বলেন, এই রায়ের নথিপত্র ডেথ রেফারেন্স হিসেবে আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে চলে যাওয়ার কথা। সেখানে যেন পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো দ্রুত নিষ্পন্ন করা যায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পেপারবুক, অর্থাৎ মামলার রায় সম্পর্কিত নথিপত্র। সেই পেপারবুক তৈরির জন্য আমরা কাজ শুরু করে দেবো।

এর আগে, বুধবার দুপুরে আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, আবরার ফাহাদের সঙ্গে যে নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে, তা দেশের সব মানুষকে ব্যথিত করেছে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধ করতেই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন