উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই ওমর ফারুককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুকের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে (ডিএমপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মাইক্রোবাসে অপহরণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক আসামির জবানবন্দিতে ওমর ফারুকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।

ওমর ফারুকের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এসআই ওমর ফারুকের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অপরাধ সংশ্লিষ্টতার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নিতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহারে বাদী জয়দেবপুর মধ্যপাড়ার শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ নভেম্বর জয়দেবপুরের পিরুজালী আলিমপাড়ার একটি খাবার হোটেলে আহসান হাবিবের সঙ্গে কথা বলার সময় তার (আহসান হাবিব) কয়েকজন সহযোগী সাদা রংয়ের হায়েস গাড়িতে তুলে চোখ বেঁধে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়। তারা মারধর করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় তারা মারধর করলে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা দিই। পরে আসামিরা আমার স্ত্রীকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। তবে স্ত্রীর সাথে কৌশলে কথা বলে জানতে পারি তারা ডিবি পুলিশ নয়। এটি আসামিদের জানালে তারা রাত পৌনে ১২টার সময় তুরাগের কামারপাড়ায় গাড়ি থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দেয়।

তারপর পুলিশকে অবহিত করলে আহসান হাবিবকে ওইদিন দিবাগত রাতে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে সে বিভিন্ন আসামির নাম বলে। এর মধ্যে মো. শাহীন চৌধুরী নামে এক আসামির জবানবন্দিতে বিষয়টির সঙ্গে এসআই ওমর ফারুকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে।

এ অবস্থায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন এসআই ওমর ফারুক।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ