বিজ্ঞাপন

পেশাগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নোবেলজয়ী ২ সাংবাদিক

December 10, 2021 | 11:16 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী দুই সাংবাদিক ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ সশরীরে হাজির হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলোর সিটি হলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়। নোবেলজয়ী হিসেবে তাদের দুই জনকে মেডেল, ডিপ্লোমা সনদপত্র এবং ১০ মিলিয়ন ক্রোনার ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।

নোবেল বক্তৃতায় সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমে কর্মরতদের পেশাগত নিরাপত্তার দাবি জোরাল হয়ে ওঠে। ফিলিপাইনের প্রথম নোবেলজয়ী হিসেবে মারিয়া রেসা বলেন, খবর নিয়ে প্রতিযোগিতার দিন ফুরিয়েছে। এখন কর্তৃত্ববাদী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে শক্তিশালী করার সময় এসেছে।

একইসঙ্গে, মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো জনমনে মিথ্যার ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ওই নারী সাংবাদিক।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, হত্যা-নিপীড়ন-হামলার তোয়াক্কা না করে দেশে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আন্দোলনে একনিষ্টভাবে যুক্ত থাকার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ওই দুই সাংবাদিককে।

৫৮ বছর বয়সী মারিয়া রেসা ২০১২ সাল থেকে ফিলিপাইনের জনপ্রিয় নিউজ ওয়েবসাইট র‍্যাপলারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। তার আগে, তিনি দীর্ঘদিন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন।

রড্রিগো দুতার্তের কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে ব্যক্তিগত-প্রাতিষ্ঠানিক নানান পর্যায়ে সরকারি তোপের মুখে মারিয়াকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। অমূলক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার-কারাবরণ-জামিন এবং পুনরায় গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নিয়ে নোবেল পুরস্কারের মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছলেন এই মার্কিন-ফিলিপিনো সাংবাদিক।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে, ৫৯ বছর বয়সী মুরাতভ ১৯৯৩ সালে নভো গেজেট নামে একটি স্বাধীন সংবাদপত্র প্রকাশ শুরু করেন। নোবেল বক্তৃতায় রাশান ওই সাংবাদিক বলেন, সাংবাদিকদেরও মাথা উঁচু করে কথা বলার কিংবা আঘাতের পাল্টা জবাব দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু, তারা প্রগতির সারথি তাই কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে মুরাতভ বলেন, যুদ্ধ একটা ভূরাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়। কিন্তু যুদ্ধের শেষ হয় মৃত সৈনিককে খুঁজে বেড়ানো বা বন্দি বিনিময়ের মতো ভয়াবহ বাস্তবতার মধ্য দিয়ে।

নোবেল বক্তব্যের শুরুতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী মারা যাওয়া সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের প্রস্তাব করেন দিমিত্রি মুরাতভ।

প্রসঙ্গত, চেচনিয়ার দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গিয়ে ৯০ এর দশকে মুরাতভের নভো গেজেট পত্রিকার ছয় কর্মী খুন হয়েছেন। সর্বশেষ, ২০০৬ সালে পত্রিকাটির প্রখ্যাত সাংবাদিক আন্না পলিতকভোস্কাকে খুন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন