বিজ্ঞাপন

ইউক্রেন ও তাইওয়ান এক বিষয় নয়: চীন

February 23, 2022 | 5:45 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘তাইওয়ান ইউক্রেনের মতো নয়। দ্বীপরাষ্ট্রটি বরাবরই চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’  ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক তৎপরতায় তাইওয়ানের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং এ বার্তা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার রাতে ইউক্রেনের দু’টি প্রদেশকে স্বাধীন স্বীকৃতি দিয়ে শান্তিরক্ষী হিসেবে প্রবেশ করেছে রাশিয়া। তাইওয়ান চীনের তরফ থেকে একই ধরনের পদক্ষেপের আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গোয়েন্দা সংস্থা ও সামরিক বাহিনীকে নজরদারি ও সামরিক কার্যক্রম বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত সপ্তায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানেও একইভাবে আগ্রাসন চালাতে পারে চীন। বরিস জনসনের মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বেইজিংয়ে বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং ইউক্রেন এবং তাইওয়ানের ইস্যুগুলোর মধ্যে কোনো যোগসূত্র নেই বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান ইউক্রেন নয়। তাইওয়ান সবসময় চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। এটি একটি অবিসংবাদিত আইনি এবং ঐতিহাসিক সত্য।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

উল্লেখ্য যে, তাইওয়ানকে নিজ দেশের অংশ মনে করে চীন। তবে দ্বীপরাষ্ট্রটি স্বশাসিত। অপরদিকে, তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম একটি ভূখণ্ড বলে মনে করে—যেখানে চীনের কোনো অধিকার নেই। অন্যদিকে, সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল ইউক্রেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর স্বাধীন হয়ে যায় পূর্ব ইউরোপের দেশটি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সাম্প্রতিক সেনা তৎপরতা তাইওয়ানকে বিপাকে ফেলবে বলে মনে করছেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তবে ইউক্রেন ও তাইওয়ান একই বিষয় নয় বলে স্বীকার করছেন সাই ইং ওয়েন নিজেও। তারপরেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক অবস্থানে তিনি।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক সভায় তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সমস্ত নিরাপত্তা এবং সামরিক ইউনিটগুলোকে তাইওয়ান প্রণালীর আশেপাশে সামরিক কার্যক্রম ও নজরদারি এবং প্রাথমিক সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন