বিজ্ঞাপন

‘হাওরে পানি রিজার্ভার সৃষ্টি করতে হবে’

February 24, 2022 | 6:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: হাওরের উন্নয়নমূলক কাজ শুষ্ক মৌসুমের করার তাগিদ দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেছেন, ভারতের মেঘালয় ও বরাক বেসিনে একই সময় বৃষ্টিপাত হলে সেই পানির চাপে এই অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই প্রয়োজনীতার নিরিখে শাখা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করে বর্ষায় এর পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানির রিজার্ভার সৃষ্টি করতে হবে; যাতে শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদে ব্যবহার করা যায়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলার সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা-২০১৭’র আওতায় বিভিন্ন হাওরে চলমান ডুবন্ত বাঁধের মেরামত/পুনঃনির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় পলি পড়ে নদীর ও হাওরের তলদেশ উঁচু হওয়ায় পানি সহজেই সাগরে যেতে পারে না। এবং হাওরে পর্যাপ্ত পানিও রিজার্ভ থাকছে না। হাওর বাঁচাতে হলে নদী খনন করতে হবে। নদীগুলো খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে না আনলে শুধু বাঁধ দিয়ে হাওরের ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। হাওর খনন করে পানির রিজার্ভার সৃষ্টি করতে হবে। শুধু প্রাকৃতিক কারণ নয়, মানবসৃষ্ট কারণেও হাওরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্ট লাঘব করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চান। তিনি হাওরবাসীর জন্য সবই করবেন। তার দূর দৃষ্টিতায় ২০১৭ সালের পর হতে আকস্মিক বন্যায় হাওরে ক্ষতির পরিমাণ কমছে। তিনি হাওরবাসীর কল্যাণে এই অঞ্চলে মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করেছেন। জেলার ১৪টি খাল পুনঃখনন করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই হাওরের প্রকল্প পরিদর্শনে আসি। পরিদর্শনে আসলে কাজের মান ভালো হয়।’ এ সময় স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতীমন্ত্রী বলেন, ‘পলি বন্ধ করা সম্ভব না। তবে নদী দখলমুক্ত ও অবৈধ বালু উত্তোলন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ এ ব্যাপারে মিডিয়ার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এলাকাবাসীর সচেতনতা আর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হাওর হবে শস্য ভান্ডার। এলাকার মানুষের জীবন মানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।’

হাওরের উন্নয়নকাজ পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মোট ৩৫১টি হাওর রয়েছে। এই হাওর অঞ্চলগুলো বন্যাপ্রবণ নিম্নাঞ্চল। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ৯৫টি হাওর রয়েছে। এসকল হাওর নিয়ে মাস্টারপ্লান গ্রহণ করেছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন