বিজ্ঞাপন

বিএনপিকে ঠেকাতে দিনভর বেতারকেন্দ্রের সামনে আ.লীগ

March 27, 2022 | 5:09 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একাত্তরের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রচারকেন্দ্র কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন ঠেকাতে দিনভর সেখানে অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে নগরীর চান্দগাঁওয়ে বেতারকেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নেয় নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গণজমায়েতে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাটে সমাবেশ করেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি শ্রদ্ধা জানানোর নামে মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করবে, ইতিহাসের খলনায়ককে নায়ক বানানোর চেষ্টা করবে, সেটা আমরা করতে দিতে পারি না। আমরা যারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, আমরা এখনও বেঁচে আছি। আমরা ক্ষমতায় থেকেও রাজপথে আছি। আমরা যখন বিরোধীদলে ছিলাম, তখনও রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। বিএনপিকে আর ইতিহাস বিকৃতির রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম, কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুন নবী সাহেদও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে মেয়রের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বেতারকেন্দ্রের সামনে যান।

বিজ্ঞাপন

দুপুরে বেতারকেন্দ্রের সামনে গণজমায়েতে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ঐতিহাসিক সত্য। এই সত্য যারা বিশ্বাস করে না, তারা স্বাধীনতার শত্রু। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার হলেও এরা নির্মূল হয়নি। এই ইতিহাস বিকৃতকারী স্বাধীনতার শত্রুদের নির্মূল করতে হবে। তাদের দুঃসাহস সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে। তাদের কোনো ধরণের ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।’

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিএনপির জন্ম হয়েছিল সেনানিবাসে। তাদের কোনো রাজনীতি নেই। তাদের জন্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। মিথ্যাচার ও ইতিহাস বিকৃতিই তাদের একমাত্র রাজনীতি। জিয়া জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন। ঘোষণাটি প্রথম পাঠ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। এটাই ইতিহাসের প্রকৃত সত্য। মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিএনপি এদেশেকে পাকিস্তান বানানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এদের নির্মূল না করা পর্যন্ত স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর বার বার আঘাত আসবে। যারা ইতিহাস বিকৃত করার সামান্যতম চেষ্টা করবে, তাদের মাঠে-ঘাটে-রাস্তায় এমনকি অলিতে-গলিতেও প্রতিহত করতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদের সঞ্চালনায় গণজমায়েতে আরও বক্তব্য দেন- সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, সরওয়ার কামাল দুলু, সৈয়দ আহমদ, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, দফতর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, মহিলা সম্পাদিক জোবাইদা নার্গিস খান, ধর্ম সম্পাদক জহুর আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, নির্বাহী সদস্য সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, নেছার উদ্দীন আহমেদ, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

গণজমায়েত থেকে সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে হরতাল বিরোধী মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে নগর আওয়ামী লীগ।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন