‘গণমাধ্যমকর্মী আইন টিআইবির কোনো বিষয় নয়’

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: নিজেদের কর্মপরিধির বাইরে গিয়ে সব বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া টিআইবির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী আইন পরিমার্জন-পরিবর্ধন করা হবে। এটা টিআইবির কোনো বিষয় নয়। তা সত্ত্বেও বিবৃতি দিয়ে তারা বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে। যা আইন পরিমার্জন প্রক্রিয়ায় সহায়ক তো নয়ই বরং অন্তরায়।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে টিআইবির বিবৃতি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য। এটা দুর্নীতির কোনো বিষয় নয়। আইনটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে, সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হবে।

তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিআইবি আগ বাড়িয়ে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক করার চেষ্টা করছে -এর মধ্যে দূরভিসন্ধি রয়েছে।

এ সময় সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ডাকাত সরকারে পরিণত হয়েছে, টিসিবির কার্ডও দলীয়করণ করেছে’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, দল-মত নির্বিশেষে ন্যায্য প্রাপ্যতার ভিত্তিতেই এক কোটি পরিবারকে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে। পাঁচ কোটি মানুষ উপকারভোগী হয়েছেন। এখানে দলীয় কোনো নেতাকর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। জনপ্রতিনিধিবৃন্দ যারা আওয়ামী লীগ-বিএনপি,-জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দল থেকেই রয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসলে সবকিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খোঁজাই বিএনপির সমস্যা।

‘আসলে, টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ড মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনায় এবং জনগণ সরকারকে সাধুবাদ দেওয়ায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তাই তারা উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন’ বলেন হাছান মাহমুদ।

মির্জা ফখরুল ইদানিং যে ভাষায় কথা বলছেন তা সিনিয়র রাজনীতিকের ভাষা নয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে ডাকাত বলেছেন, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিশ্ব ডাকাতে পরিণত হয়েছিলেন এবং সেজন্য তাদের হাতে দেশ পরপর পাঁচ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’

সারাবাংলা/একেএম