বিজ্ঞাপন

অনাস্থা ভোট: শনিবার যা ঘটবে পাকিস্তান সংসদে

April 8, 2022 | 12:23 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোট খারিজ করে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। পরে ইমরান খানের পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। শেষ পর্যন্ত দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সেই অনাস্থা ভোট খারিজের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (৯ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফের অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডনের খবরে বলা হয়, গত ৩ এপ্রিল পাকিস্তান সংসদে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাবটি খারিজ করে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার আগেই ফের সেই ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হবে সংসদে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে আদেশ দেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়েছে, স্পিকারকে চলমান সংসদে অধিবেশন ডাকতে হবে। অধিবেশনে বসে তাৎক্ষণিকভাবে, কোনোভাবেই সকাল সাড়ে ১০টার পরে নয়, অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু করতে হবে, যেখানে গত ৩ এপ্রিলের জন্য যে আদেশটি ইস্যু করা হয়েছিল (অনাস্থা ভোট), তার আলোকেই এই কার্যক্রম চলবে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

ডন বলছে, আজ শুক্রবার (৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংসদ সচিবালয় শনিবারের সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। অনাস্থা প্রস্তাবটির নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত অধিবেশনটি মুলতবি হবে না।

অনাস্থা ভোটে হেরে গেলে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলো সরকার গঠনের সুযোগ পাবে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর বলছে, বিরোধী দলগুলো ইমরান খানের বিদায় নিশ্চিত ধরে নিয়ে এরই মধ্যে নতুন সরকার গঠনের রূপরেখা নিয়েও কাজ শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান শাহবাজ শরিফ নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর বিরোধীরা তাকেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছি।

বিজ্ঞাপন

খবর বলছে, বিরোধী দলগুলোর গঠন করা সরকারে আনুপাতিক হারে শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। নতুন সরকারের মেয়াদ হতে পারে এক বছর। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রুপির দরপতন ঠেকানোর মতো অর্থনৈতিক নীতি এই সরকারের অগ্রাধিকার হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের অভিযোগ তুলে ইমরান খান ও তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরুদ্ধে গত ৭ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। পরে শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টে (এমকিউএম) বিরোধী শিবিরে যোগ দিলে জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরান সরকার। এ ক্ষেত্রে অনাস্থা ভোটে তিনি হেরে যাবেন এবং প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাবেন— এরকমই অনুমান করছিলেন সবাই।

গত ২৫ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাবটি সংসদে উত্থাপন করেন স্পিকার আসাদ কায়সার। নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাব উত্থাপনের ১০ দিন তথা ৩ এপ্রিলের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবটি ভোটে পাঠানোর কথা ছিল। সে অনুযায়ী ৩ এপ্রিলের সংসদের কার্যক্রমে অনাস্থা প্রস্তাবটি ভোটে ওঠারও কথা ছিল। কিন্তু সেদিন অধিবেশন শুরুর পর কাসিম সুরি সেটি খারিজ করে দেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীকাল স্পিকার আসাদ কায়সারকে অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে সভাপতিত্ব করা উচিত এবং অনাস্থা প্রস্তাবটি ভোটে দেওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন