বিজ্ঞাপন

ইয়াবা জব্দের প্রথম মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এমরান গ্রেফতার

April 29, 2022 | 5:40 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধঘোষিত মাদক ইয়াবা জব্দ করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সে ঘটনায় দায়ের মামলায় এজাহারভুক্ত না হলেও তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এমরান হকের (৪৮) নাম। তবে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর ২০০৪ সাল থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। ইয়াবা জব্দের প্রথম সেই মামলার রায় হয় প্রায় দুই দশক পর, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এরও প্রায় দুই মাস পর সাজাপ্রাপ্ত সেই আসামি এমরান হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

২৭ এপ্রিল রাতে অভিযান চালিয়ে বনানী থেকে এমরান হককে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) র‌্যাব সদর দফতরের একটি শাখার পরিচালক এএসপি ইমরান হেসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০০২ সালের ১৯ ডিসেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে হিরোইন, ইয়াবা ও নিষিদ্ধঘোষিত অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমরান হকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আরও পড়ুন- দেশে প্রথম ইয়াবা মামলার রায়, দুই ভাইসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

বিজ্ঞাপন

গত ১০ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ আপিল আদালতের (বিশেষ দায়রা আদালত) বিচারক এস এম এরশাদুল আলম আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এজহারভুক্ত আসামি শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তদন্ত শেষে চার্জশিটভুক্ত আসামি এমরান হক ও সোমনাথ সাহাসহ চার জনক তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এমরান হক ও সোমনাথ সাহা পলাতক হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এএসপি ইমরান জানান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৭ এপ্রিল রাতে র‌্যাব-১-এর একটি অভিযানিক দল রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে এমরান হককে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমরান র‌্যাবকে জানান, ২০০২ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। পরে ২০০৪ সাল থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এমরান র‌্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি ও তার সহযোগীরা মূলত মিয়ানমার থেকে লাগেজের মাধ্যমে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ইয়াবা বাংলাদেশে আনতেন। রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বনশ্রীসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় এই মাদক বিক্রি করতে শুরু করেন তারা।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন