বিজ্ঞাপন

মিল্টন সমাদ্দার আরও ৪ দিনের রিমান্ডে

May 5, 2024 | 5:59 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলায় ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারকে আরও চার দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জালিয়াতির মাধ্যমে চিকিৎসক সেজে মৃত ব্যক্তির সনদসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ রোববার মিল্টনকে ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ।

আরও পড়ুন- আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের হাত-পা কেটে আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার

বিজ্ঞাপন

এ দিন আদালতে মিরপুর থানায় দায়ের করা মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মানব পাচার মামলার এজাহার অনুযায়ী, এম এ রাকিব নামের এক ব্যক্তি ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি এলাকায় দুই বছরের একটি শিশুকে খুঁজে পান। তিনি শিশুটিকে মিল্টন সমাদ্দারের প্রতিষ্ঠান চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে দেন। বাদী কয়েক মাস পর শিশুটিকে দেখার জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে যান। একপর্যায়ে তাকে ওই প্রতিষ্ঠানে যেতে নিষেধ করেন মিল্টন সমাদ্দার। পরে বাদী জানতে পারেন, সেই শিশুকে পাচার করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ২ মে মিরপুর মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা হয়। মামলায় মিল্টনের পাশাপাশি তার সহযোগী কিশোর বালা নামে একজনকে আসামি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় গত ২ মে মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই কামাল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১ মে রাতেই রাজধানীর ধানমন্ডির বাসিন্দা এম রাকিব (৩৫) মানব পাচারের অভিযাগে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন