বিজ্ঞাপন

শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিতে গিয়ে সড়কে গেল ২ প্রাণ

May 20, 2022 | 5:41 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চাঁদপুর: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয় হাজীগঞ্জ থেকে চাঁদপুর সদর উপজেলায় নিয়োগ পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন ফাতেমা আলম (২৩) ও আব্দুল্লাহ (২৫)। শেষ পর্যন্ত আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তাদের। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে তাদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নও হারিয়ে গেছে সড়ক ভেসে যাওয়া রক্তের স্রোতে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে চাঁদপুর সদর উপজেলার ঘোষের হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান পলাশ জানান, চাঁদপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল সিএনজি অটোরিকশাটি। সিমেন্টবাহী একটি পিকআপ ভ্যান যাচ্ছিল বিপরীত দিকে। পথে ঘোষের হাট এলাকায় যানবাহন দুইটির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় সিএনজির যাত্রী এক জন নারী দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন সেখানে মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন বলে জানান হাবিবুর রহমান পলাশ।

জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষায় অংশ নিতে সিএনজিতে করে চাঁদপুর সদরের আল আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন তিন পরীক্ষার্থী ফাতেমা আলম, আব্দুল্লাহ ও আমেনা বেগম (২৫) এবং আমেনার বাবা। পথে বিপরীত দিক থেকে কুমিল্লার দিকে ধাবমান ওই পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষ ঘটে। এসময় ফাতেমা দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন বাকি তিন জন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আব্দুল্লাহ মারা যান।

বিজ্ঞাপন

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় দুই জনের নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তারা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। বলে জানতে পেরেছি।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত আব্দুল্লাহ হাজীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর নোয়াপাড়া পাটোয়ারি বাড়ির হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে। নিহত আরেক যাত্রী ফাতেমা আলম হাজীগঞ্জ বলাখাল বাজারের মো. ইয়াসিনের মেয়ে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালে তারা আব্দুল্লাহকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। আহত আমেনা বেগম ও তার বাবাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের আঘাত ততটা গুরুতর নয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন