বিজ্ঞাপন

খালের বাঁধ সরাতে ১০ দিন সময় দিলেন চসিক মেয়র রেজাউল

May 29, 2022 | 9:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের আওতায় খালে দেওয়া বাঁধ ১০ দিনের মধ্যে অপসারণে সময় বেঁধে দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র আরও বলেছেন, বাঁধ অপসারণ না করায় যদি জলাবদ্ধতা হয় এর দায় সিটি করপোরেশন নেবে না। সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নগরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরনো নগর ভবন মিলনায়তনে সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদের ১৬তম সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত দেন মেয়র।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর বিভিন্ন খালের ভেতরের অংশে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে জলকপাট ও প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। খালে দেওয়া বাঁধের কারণে ব্যাপক জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গত ৬ এপ্রিল জলাবদ্ধতা নিয়ে চসিক ও সিডিএ’র সমন্বয় সভায় এপ্রিলের মধ্যে বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

কিন্তু বাঁধ অপসারণ না করায় সাম্প্রতিক সময়ে সামান্য বৃষ্টিতে ব্যাপক জলজট তৈরি হওয়ায় নগরবাসীকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। মে মাস শেষ হতে চললেও বাঁধ অপসারণ না করায় সাধারণ সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন কাউন্সিলর। বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কার প্রকাশ করেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোবারক আলী বলেন, ‘এপ্রিলের মধ্যে বাঁধ অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেটা বাস্তবায়ন করেনি সিডিএ। আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাঁধগুলো অপসারণের সময় বেঁধে দিয়েছেন মেয়র মহোদয়। বিষয়টি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে বাঁধগুলো অপসারণ করা না হলে সংবাদ সম্মেলন করবেন মেয়র। তাতে আসন্ন বর্ষায় এসব বাঁধের কারণে জলাবদ্ধতা হলে তার দায় সিটি করপোরেশন নেবে না বলে নগরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

সভায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহদ্দারহাট, মুরাদপুরসহ অনেক এলাকায় জলজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে নাগরিক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে অনেকগুলো খাল ও নালায় বাঁধ দিতে হয়েছে এবং খাল-নালা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধগুলো সরিয়ে বৃষ্টির পানি চলাচলের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা ও সিডিএকে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা বাঁধ অপসারণ করেনি। ফলে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীতে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সাধারণ সভায় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে এলইডি লাইট স্থাপনে ভারতীয় ঋণ সহায়তায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এজন্য প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন তারা। তার অদক্ষতার কারণে কোনো জটিলতা তৈরি হলে তার বিরুদ্ধে দাফতরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মেয়র।

এদিকে, আগামী দুইদিনের মধ্যে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ছবি সম্বলিত নাম-ঠিকানা জমা দেওয়া ও জন্য সাধারণ সভায় নিদের্শনা দেন সিটি মেয়র। নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দ্রুত ফিঙ্গার প্রিন্টের মধ্যে হাজিরা ব্যবস্থা চালুর কথাও জানান তিনি।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন