বিজ্ঞাপন

সকালে চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে কমেছে যাত্রীর সংখ্যা

July 9, 2022 | 6:36 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাত পোহালেই ইদুল আজহা। ইদের আগের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকেই রাস্তায় বাড়তে থাকে বাড়ির পথে ফেরার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভিড়। স্বজনদের সঙ্গে ইদ আনন্দে শামিল হওয়ার জন্য বাড়ি যাবেন সবাই। আগের দুইদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাস না পেয়ে অপেক্ষা করতে হলেও ইদের আগের দিন সকাল শেষ হয়ে বিকেল গড়াতেই ভিন্ন চিত্র রাজধানীর কমলাপুর, আরামবাগ, ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ, জনপদ, যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকাগুলোতে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে রাজধানী এ সব বাস টার্মিনাল এলাকাগুলোতে সকালে দেখা যায়— যাত্রীদের সংখ্যা বেশি। তুলনামূলকভাবে বাসের সংখ্যা কম থাকায় অপেক্ষাও করতে হচ্ছিল অনেক যাত্রীকে। তবে সকাল ১১টার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে আর এ সময় যাত্রীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়।

সরেজমিনে অনেক কাউন্টারের কর্মচারীদের অলস সময় পাড় করতে দেখা যায়। তবে কিছু কাউন্টারে জ্যামে আটকে থাকা গাড়িগুলোর যাত্রীদের কিছুটা ভীড় রয়েছে।

ইদের আগের দিন হলেও বিকেলে মানুষের বাড়তি চাপ না থাকায় সায়েদাবাদ এলাকায়ও দীর্ঘ সময় ডেকে যাত্রী পাচ্ছে না বাসগুলো। অনেকে সকাল থেকে অপেক্ষা করে বাস ছাড়তে পারছেন না। তাই হতাশ হয়ে গাড়ি বন্ধ করে রেখেছেন অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

তবে আছে পালটা অভিযোগও। যাত্রীদের অভিযোগ— ইদে মানুষের বাড়ি ফেরার সু্যোগ নিয়ে সায়েদাবাদ এলাকার নন-এসি পরিবহনগুলো এসি গাড়ির তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া আদায় করেছে। এমনকি লোকাল কোস্টার রিজার্ভ করে কুমিল্লা পাঠাচ্ছে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পরিবহন শ্রমিক ও কর্মকর্তারা। তাদের দাবি কারও কাছ থেকেই জোর করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। তবে ইদে জ্যাম ঠেলে রাস্তায় যে কষ্ট হচ্ছে তাতে অনেক যাত্রীই খুশি হয়ে পরিবহনের শ্রমিকদের বখশিস দিচ্ছে। আর বাড়তি ভাড়া নিলে তো ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ধরা পড়ত। সেটিও তো হয়নি।

ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলা তিশা পরিবহনের গাড়ির চালক আবদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, মূলত ফ্লাইওভারের জ্যামের কারণে এবার কষ্ট বাড়তেছে বেশি। শুধু আমাদের লাইনই না বরং অন্যান্য লাইনের গাড়িরও একই অবস্থা। ধোলাইপাড় থেকে সায়েদাবাদ যাওয়া বাসগুলো জ্যামে আটকাচ্ছে। যাত্রাবাড়ি পার হতেই ঘণ্টাখানেক সময় লাগছে। আবার গুলিস্তান থেকে সায়েদাবাদের দিকে যাওয়ার রাস্তায়ও যানজটে পড়তে হচ্ছে বাসগুলোকে। সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী রুটে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোকেও যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘ জটলায় পড়তে হচ্ছে। তবে কাজলা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা অতিক্রমের পর কিছুটা স্বস্তিতে যাত্রা করতে পারছে।

বিজ্ঞাপন

তবে গত দুইদিন সমস্যা বেশি হলেও আজ সকাল ১১ টা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলেও দাবি করেন আব্দুর রহমান।

রাজধানীর উত্তরা-আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গসহ বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। আগের দুইদিনের তুলনায় কম জট থাকায় যানও মিলছে তাদের যারা অগ্রীম টিকেট কেটে রেখেছিলেন।

তবে যাদের অগ্রীম টিকেট কাটা নেই তাদের পড়তে হচ্ছে পরিবহন না পাওয়ার ভোগান্তিতে৷ আর এই সুযোগে ট্রাক-পিকাপ চালকেরা দরদাম করে যাত্রী ওঠাচ্ছেন।টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কেও স্বাভাবিকভাবে চলছে যানবাহন।

ঢাকা উত্তর ট্রাফিকের ইনর্চাজ (প্রশাসন) আব্দুস সালম বলেন, ‘গত দুদিন বেশিরভাগ মানুষই চলে গেছেন। আজ যারা যাচ্ছেন তারা সুন্দরভাবে যেতে পারছেন। আজ সকাল থেকে গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও কোনো যানজট ছিল না। এরইমধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করেছে মহাসড়কগুলো। সব সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিকভাবেই করছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন