বিজ্ঞাপন

ইদের ছুটিতে ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ভিড়

July 13, 2022 | 4:40 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বাগেরহাট: ইদুল আজহার ছুটিতে ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানজাহানের (রহ.) মাজার দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থানের দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া বাগেরহাটের চন্দ্রমহল, সুন্দরবন রিসোর্ট, পৌর পার্কসহ মুনিগঞ্জ ও দড়াটানা সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মা-বাবার সঙ্গে আসা শিশুরা এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন।

এ বছর সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে বাগেরহাটের প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সপ্তাহজুড়ে জেলার ঐতিহ্যাসিক ও দর্শণীয় এসব স্থানে পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।

ঢাকা থেকে ষাটগম্বুজ মসজিদে পরিবার নিয়ে ঘুড়তে চৌধুরী সালমা বিনতে আলী বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিল, মসজিদের শহর বাগেরহাট বেড়াতে আসার। কিন্তু সময়ের অভাবে আশা হয়নি। তাই এ বছর ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে এলাম। পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর এখন যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক ভালো। ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখলাম, খানজাহানের মাজার দেখলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে।’

বিজ্ঞাপন

স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে আসা লতা সরকার বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আমি এ নীতিতে বিশ্বাস করি। আমার শ্বশুরবাড়ী বাগেরহাটে। আমি ও আমার স্বামী কর্মের সুবাদে ঢাকাতে থাকি। বিয়ের পর এ বছরই বাগেরহাটে ঘুরতে আসলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে।’

পিরোজপুর থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাগেরহাট হলো মসজিদের শহর। এত বছরের প্রাচীন সব মসজিদ দেশের কোথাও দেখা যায় না। আমি এর আগেও বাগেরহাটের এসেছি। এ বছর ঈদের ছুটিতে নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসলাম।’

বিজ্ঞাপন

বাগেরহাট পৌরসভার বাসিন্দা মোল্লা মাসুদুল হক বলেন, ‘প্রতিবছরই ঈদে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহানের মাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হই। তবে গেল বছরের তুলনায় এ বছর জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনায় ভিড় বেশি। আমার কাছে মনে হয়, মাছের প্রজনন মৌসুমের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেজ্ঞার কারণে ভিড় বাড়ছে।’

বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টডিয়ান মো. যায়েদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে গত দু’দিন ষাটগম্বুজ মসজিদসহ জেলার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঘুরতে আসা এসব পর্যটকদের জন্য ২০ জন আনসার সদস্য ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।’

সারাবাংলা/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন