বিজ্ঞাপন

‘এনআইডি স্বরাষ্ট্রে গেলে ভোটার কার্ড দেবে ইসি’

October 20, 2022 | 8:11 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে নিলে ভোটারদের কার্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, এনআইডির কর্তৃত্ব চলে গেলেও নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কোনো ক্ষতি হবে না বলে মনে করছে ইসি। কারণ, এনআইডির ভিত্তিতে আমরা নির্বাচন করি না। আমরা নির্বাচন করি ভোটার তালিকার ভিত্তিতে। তবে ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এনআইডি চলে গেলেও ভোটার সার্ভার দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা ইসির সম্পদ। আমাদের সার্ভার আমাদের কাছেই থাকবে। এই সার্ভার আমরা কারও কাছে হস্তান্তর করব না। এটা নিয়ে যারা বোঝে তারাও বলে, যারা না বোঝে তারাও বলে। তবে আমরা তথ্য শেয়ার করতে পারি। এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেলে তারা তথ্য ব্যবহার করতে চাইলে দেওয়া যাবে।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘এনআইডি চলে গেলে এটার নাম দেব ভোটার আইডি। ভোটাররা আমাদের কাছ থেকে কার্ড পাবেন। এনআইডি তো কার্ড হিসেবে আমরা বানাইনি। আমরা বানিয়েছি ভোটার কার্ড হিসেবে।’

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার জন্য নতুন ইভিএম কেনার কথা রয়েছে। কিনতে না পারলে যা আছে তা দিয়ে যতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যায় ততগুলোই করব।’

তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন যদি মনে করে আমাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের আর্থিক সক্ষমতা আছে, তারা যদি মনে করে পারবে তাহলে নতুন করে ইভিএম কেনা হবে। তবে জানুয়ারির মধ্যে এই প্রকল্প পাস না হলে আমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হবে না।’

গোপন কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ভোটাধিকার লঙ্ঘন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গোপন কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখিনি। কারণ এটা গোপন কক্ষ। কে কোন মার্কায় ভোট দিয়েছেন এটা দ্বিতীয় ব্যক্তির জানার সুযোগ নেই। সিইসি বা কমিশনার, কারও অধিকার নেই এটা জানার। যারা বলেছেন ঠিকই বলেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা ক্যামেরা রেখেছি ভোটকেন্দ্রে। সেখানে দেখা গেছে অবৈধ ব্যক্তি ভোট দিয়ে চলে আসছে। কাকে ভোট দিয়েছে তা তো দেখিনি। এটা দেখার সুযোগ নেই। কেউ যদি এটা বলে থাকলে সেটা ভুল তথ্য।’

উল্লেখ্য, বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সাবেক তিন সিইসিসহ ইসির সাবেক কমিশনার ও সচিবরা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের থেকে সরকারের হাতে স্থানান্তরের বিরোধিতা করেছেন। তাদরে এই ব্ক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছন বর্তমান সিইসিসহ সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবরা।

তাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের হাত ধরেই জাতীয় পরিচয়পত্র এসেছে। এটা তাদের হাতেই থাকা উচিত। এটি সরকারের কাছে গেলে ভোটার তালিকা নিয়ে সমস্যা হবে। একটি গণ্ডগোল লাগবে। মানুষের ভোটার হওয়ার আগ্রহ থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন