বিজ্ঞাপন

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ির নথিপত্র দাখিলের নির্দেশ

November 1, 2022 | 5:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সাবেক ফুটবলার ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদীর রাজধানীর গুলশানের বাড়ির প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

১০ দিনের মধ্যে গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত ২৯ নম্বর বাড়িটির (সি.ই. এন (ডি)-২৭) বাড়িটির প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে আদালত বলেছেন, ‘আগে দেখি সত্য-মিথ্যা কতটুকু। আর কাগজপত্র সঠিক আছে কি না, দেখি।’

রুলে পরিত্যক্ত সম্পতির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর সংসদ সদস্য ও সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে গুলশানের বাড়িটি দখলের অভিযোগ তুলে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বিজ্ঞাপন

আব্দুস সালাম মুর্শেদী খুলনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।

রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেওয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়েছে।

শুনানি শেষে আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়িটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত। বাড়ির বিষয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জানতে চাইলে রাজউক কোনো জবাব দেয়নি। এ ছাড়া ওই জমির নামজারি ও দলিলের বিষয়ে জানতে চেয়ে চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজউককে আবার চিঠি দেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এমন প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দুদকে একটা আবেদন করি। কিন্তু আমার সে আবেদনের বিষয়ে দুই মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।’

বিজ্ঞাপন

সেই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন