বিজ্ঞাপন

‘জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে, এ বন্ধুত্ব অটুট’

December 6, 2022 | 11:02 am

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান-বাংলাদেশের ৫০ বছরের যে বন্ধুত্ব সে বন্ধুত্বেরই নির্দশন। জাপান সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে এবং আমরা সবসময় জাপাানের সঙ্গে একটা চমৎকার সম্পর্ক রেখে যাচ্ছি। আমাদের এ বন্ধুত্ব অটুট।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের (জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য দেশের জনগণের পক্ষ থেকে এবং তার সরকারের পক্ষ জাপান সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হোক এটাই আশা করি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করবো, বাংলাদেশ সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে উঠবে।

বিজ্ঞাপন

‘জাপান বাংলাদেশ আমাদের পতাকা সবুজের মাঝে লাল। জাপান হচ্ছে উদিত সূর্যের দেশ। তাই সাদার ভিতরে লাল সূর্য। এটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরও পছন্দের পতাকা। আমাদের দুই দেশের পতাকার মাঝেও একটা মিল রয়ে গেছে’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

একইসঙ্গে জাপানের আতিথিপরায়ণতা বাংলাদেশ সবসময় স্মরণ করে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করে এক একটা দেশের জন্য আলাদা ইকোনমিক অঞ্চল সম্পূর্ণ তাদের দেওয়ার অর্থ্যাৎ (জিটুজি গর্ভনমেন্ট টু গর্ভনমেন্ট) ব্যবস্থা রেখেছি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

জাপানি ইকোনমিক জোনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন ২০১৪ সালে জাপানে যাই, সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়। আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করি। সেভাবেই আমরা দুই বন্ধুপ্রতিম দেশ আমরা কাজ করি। তাছাড়া জাপান আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ করে দিচ্ছে। যেমন আমাদের মেট্রোরেল, বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, পাাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে দিচ্ছে। আমাদের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কাজ জাপান করে দিচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা আমি বলব যে, আমাদের ৫০ বছরের যে বন্ধুত্ব, সে বন্ধুত্বেরই নির্দশন। জাপান সবসময় বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে এবং আমরা সবসময় জাপাানের সঙ্গে একটা চমৎকার সম্পর্ক রেখে যাচ্ছি। আমাদের এ বন্ধুত্ব অটুট।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা যখন জাপান সফর করেন, তখনই যমুনার উপর সেতু, পদ্মার উপর সেতুর বিষয়টা আলোচনা করেন। এরপর আমি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হই সেখানে জাপান সরকারকে অনুরোধ করেছিলাম যে পদ্মা সেতু এবং রূপসা সেতু (খুলনা-বাগেরহাট) সে সেতুটাও কিন্তু জাপান প্রথম করে দেয়। এখন পদ্মা সেতুটাও আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করতে পেরেছি কিন্তু এখানেও জাপানের অবদান রয়েছে। জাপানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য।’

জাপানিজ ইকোনমিক জোনটি পুরোপুরি চালু হলে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বেজা এবং জাপানের সুমিতোমো কর্পোরেশন যৌথভাবে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পথ চলা শুরু হয় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরের মাধ্যমে। জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশ সফরের সময় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জাইকা বাংলাদেশে একটি জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ হাতে নেয় এবং একইবছর জাপান সরকার বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশনকে ডেভেলপার হিসাবে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করে। ২০১৮ সালে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে জাইকা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পক্ষে মত প্রদান করে। পরবর্তীতে যৌথ উদ্যোগে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ২০১৯ সালে বেজা ও সুমিতোমো করপোরেশনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন