বিজ্ঞাপন

ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমার্ধে এগিয়ে ফ্রান্স

December 11, 2022 | 1:50 am

স্পোর্টস ডেস্ক

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টারেই ফাইনালের উত্তেজনা। বিশ্বকাপের দুই ফেভারিট ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের লড়াই। কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অরেলিয়েন চুয়ামেনির বুলেট শটের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে ফ্রান্স।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর থেকে শট নেওয়ার জায়গা খুঁজে না পেয়ে পেছনের দিকে চুয়ামেনিকে পাস দেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। ডি বক্স থেকে কিছুটা দূরে বল পেয়ে প্রথম স্পর্শে বল নিয়ন্ত্রণে এনে বুলেট শট নেন অরেলিয়েন চুয়ামেনি। আর তার বুলেট শট লাফিয়ে পড়েও ঠেকাতে পারেননি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। আর তাতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

বাঁ দিক থেকে এমবাপের উড়ন্ত গতি কিংবা ডান দিক দিয়ে ওসমান দেম্বেলের টর্নেডো গতি। ইংলিশ ডিফেন্ডাররা তা বেশ ভালোভাবেই রুখেছে ম্যাচের প্রথম থেকেই। অন্যদিকে ফরোয়ার্ডে হ্যারি কেইনের দুর্দান্ত খেলোয়াড়ি গুণ অথবা তার দুই পাশ থেকে ফিল ফোডেন কিংবা বুকায়ো সাকার দুর্দান্ত গতির আক্রমণ। ফ্রান্সের জমাট বাধা রক্ষণ সেটাকেও রুখেছে দৃঢ়তার সঙ্গেই।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল গতির প্রদর্শন করেছে প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটই। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ইংল্যান্ডের একটি আক্রমণ এবং ফিল ফোডেনের জোরাল শট রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপরই শুরু হয় ফ্রান্সের একের পর এক আক্রমণ। কখনও বাঁ দিক থেকে আবার কখনও ডান দিক দিয়ে। কখনো কিলিয়ান এমবাপে আবার কখনো ওসমান দেম্বেলের পাশ দিয়ে।

তবে এমবাপে-দেম্বেলেদের আটকে রেখেও ফ্রান্সকে রুখতে পারেনি ইংলিশরা। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে একজনকে কাটিয়ে ডান দিকে বল বাড়ান এমবাপে। সতীর্থের পা ঘুরে ডি বক্সের ভেতর বল পান অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। তবে শট নেওয়ার জায়গা খুঁজে না পেয়ে পেছনের দিকে অরেলিয়েন চুয়ামেনিকে ব্যাক পাস দেন গ্রিজি। আর ডি বক্স থেকে একটু সামনে বল পেয়ে প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরের স্পর্শেই বুলেট শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে ফ্রান্সকে লিড এনে দেন চুয়ামেনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে চুয়ামেনির এটি দ্বিতীয় গোল।

বিজ্ঞাপন

গোল হজম করার পর থেকে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংলিশরা। একের পর এক আক্রমণে ফ্রান্সের রক্ষণকে ব্যস্ত রাখেন কেইন, সাকা আর ফোডেনরা। কখনো উইং দিয়ে আবার কখনো মাঝমাঠ দিয়ে সোজা এগিয়ে গিয়ে আক্রমণ হেনেছে ফ্রেঞ্চ দূর্গে। তবে ভাঙতে পারেনি ফ্রান্সের দৃঢ় রক্ষণভাগ।

অবশ্য ম্যাচের ২৬তম মিনিটে ডান দিক দিয়ে ডি বক্সে ঢোকার মুখে ফাউলের শিকার হন হ্যারি কেইন। তবে ভিএআর দেখে রেফারি ইংলিশদের পেনাল্টির আবেদন নাকোচ করে দেন। এর মিনিট তিনেক পরেই ডি বক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক শট নেন কেইন। তবে সেই শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে ফ্রান্সের লিড ধরে রাখেন গোলরক্ষক হুগো লরিস।

এতেই ম্যাচের প্রথমার্ধের ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন