বিজ্ঞাপন

চলতি মাসেই বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

January 9, 2023 | 11:00 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চলতি মাসেই ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণা করতে চায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানী শেষে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

তিনি জানান, ‘ভোক্তা এবং বিতরণ সংস্থার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই নতুন দাম নির্ধারন করা হবে। আর এ দাম দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘোষণা করা।’

নিয়ম রয়েছে কোনো কিছু প্রাইস বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গণশুনানীর ৯০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো। কিন্তু বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এ নিয়ম মানা হবে না বলে জানান বিইআরসির কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভোক্তাও যেন ক্ষুব্ধ না হোন আবার বিরতণ কোম্পানিগুলোও যাতে চলতে পারে দুই দিকেই সামঞ্জস্য রেখে নতুন দাম নির্ধারন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কমিশনের আদেশে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হননি। হতে পারে মুনাফা কিছুটা কমেছে। তবে এ নিয়ে কেউ বিরুপ প্রতিক্রিয়াও দেখাননি।’

এর আগে গণশুনানীতে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।

বিজ্ঞাপন

গেল বছরের ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়েছিল বিইআরসি। নতুন দাম ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ওই বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা।

তাদের আবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের পর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। গত দুই বছরে বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়েছে। এছাড়া এখন পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণে একটা ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই। পাইকারি পর্যায়ে যে দাম বাড়ানো হয়েছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে বলে আবেদনে যুক্তি তুলে ধরা হয়। দাম বাড়ানোর কারণে ভোক্তাদের ওপরে চাপ কতটা পড়তে পারে তারও ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে বিতরণ সংস্থাগুলো। আবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে তাদের ওপরে বাড়তি খরচের চাপ পড়বে না।

গত দফায় পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণার দু’দিন পরেই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করে বিদ্যুৎ উয়ন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এর এক সপ্তাহের মধ্যে অন্য পাঁচ বিতরণ কোম্পানিও দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে দেয় বিইআরসি। যে কমিটি বিতরণ সংস্থাগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে। যার ওপরে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সকল পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। সে সময় পাইকারি পর্যায়ে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোক্তা পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ২ পয়সা। সেখানে ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়িয়ে তা ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয় গণশুনানিতে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, দেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দামে বিদ্যুৎ কেনে পিডিবি। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে এ খাতে ভর্তুকি নেয়। তবে এক্ষেত্রে বিতরণ সংস্থাগুলো কোনো ধরনের ভর্তুকি পায় না।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন